তাইওয়ানের ছেংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের তাই জুওমিন মনে করেন, এসব ব্যবস্থায় প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মূলভূভাগ তাইওয়ানের কাছে সরাসরি পরিবহনের দরজা খুলেছে। সরাসরি পরিবহণ দু'পাড়ের ব্যক্তি ও পণ্যব্রদ্যের পরিবহনের খরচ কমিয়ে পারবে। তিনি বলেছেন, 'দু'পাড়ের সরাসরি পরিবহন চালু হওয়ার ফলে পরিবহন ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার খরচ কমবে এবং পরিবহন শিল্পের স্বার্থ বাড়বে।'
খবরে প্রকাশ, বর্তমানে দু'পাড়ের মধ্যের যেকোন যাত্রীবাহী ও পণ্যদ্রব্যবাহী বিমান হংকংয়ের মাধ্যমে কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছাতে হবে। সেজন্য এসব বিমান সত্যি সরাসরি ফ্লাইট নয়। যদি দু'পাড়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়, তাহলে দু'পাড়ের পণ্যদ্রব্য পরিবহণের খরচ শতকরা ১৫ ভাগ কমবে। এ ফলে দু'পাড়ের বাণিজ্য ও তাইওয়ানের পণ্যদ্রব্য উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানো ত্বরান্বিত এবং ব্যাপকভাবে তাইওয়ানের ভোক্তা নাগরিক ও পুঁজিবিনিয়োকারীদের প্রত্যয় জোরদার হবে।
তাইওয়ানের ইয়াতুলিচি হোটেলের মহাপরিচালক ইয়ান ছাংশৌ মনে করেন, যদি দু'পাড়ের মধ্যে সরাসরি পরিবহন চালু হয়, তাহলে তাইওয়ান একটি বাণিজ্যিক ও পর্যটনের স্থানান্তরণ স্থান পরিণত হবে। যাতে প্রচুর ব্যবসার সুযোগ এনে দেয়া যায়। তিনি বলেছেন, 'আরো বেশি তাইওয়ানের নাগরিক মূলভূবাগে ও মূলভূভাগের নাগরিক তাইওয়ান গেলে আমরা আরো বেশি সুবিধা পাবো। আমাদের উচিত তাইওয়ান দক্ষিণ চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ন স্থানান্তরণ কেন্দ্রে পরিবর্তন করা। যাতে তাইওয়ান আরো যোগ্যতাভাবে সারা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করতে পারা এবং সুযোগ ও সুন্দর ভবিষ্যত্ সৃষ্টি করা যায়।'
এছাড়া, সরাসরি পরিবহন তাইওয়ানের পরিবহনের স্থান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কল্যাণকর হবে। এখন তাইওয়ানের পরিবহনের স্থান নামছে। তাইওয়ানের কাওসিয়ং বন্দরের মাল বোঝাই আর খালাসের পরিমাণ আগের বিশ্বের তৃতীয় থেকে বর্তমানে ষষ্ঠ স্থানে নেমেছে। এখন মূলভূভাগ তাইওয়ানের বিমান পরিবহন রফতানির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজর পরিণত হয়েছে। যদি দু'পাড়ের মধ্য সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়, তাহলে এটি তাইওয়ান এশিয়া আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিমান স্থানান্তরণ কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কল্যাণকর হবে।
1 2 3
|