খবরে প্রকাশ, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে সারা বিশ্বের জ্বালানী সম্পদ নিয়ে কাড়াকাড়ির পরিস্থিতিতে পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর জ্বালানী সম্পদ বাজারে দুর্বল প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। ফলে জ্বালানী সম্পদের চাহিদা সম্পন্ন পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর অস্থিতিশীলতা সারা বিশ্বের জ্বালানী সম্পদ বাজার আরো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

    এ সম্বন্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডক্টর কিম তাই ইয় বলেছেন, পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর উচিত জ্বালানী সম্পদের নীতি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ও মনোভাব স্থাপন করা। যাতে এই অঞ্চলের জ্বালানী সম্পদের মূল্যের স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করা যায়। তিনি বলেছেন, 'আমাদের জ্বলানী সমস্যা সমাধানের কার্যকর কোন পরিকল্পনা নেই, সেজন্য আমাদের ভোক্তা দেশগুলোর পারস্পরিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূল্য অনেক বেড়েছে। আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা হল জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে এ সমস্যা খুবই কঠিন। যদি ভোক্তা দেশগুলো এক নতুন ব্যবস্থায় যৌথভাবে সহযোগিতা করে, তাহলে আমার মনে করি, পরিস্থিতি বর্তমান অবস্থার চেয়ে অনেক ভাল হবে।'

    তিনি প্রস্তাব করেছেন যে, পূর্ব-এশিয়ার উচিত 'তেলের স্থিতিশীল মূল্য তহবিলের' মত একটি জোট প্রতিষ্ঠা করা। যাতে পুনঃব্যবহৃত জ্বালানী সম্পদের আবিশ্কার ও সুরক্ষায় পুঁজি ও প্রযুক্তি সমর্থন করা যায়। এটি একেক দেশের বিপুল পুঁজিবিনিয়োগের ঝুঁকি কমানোর জন্য কল্যাণকর হবে। তাছাড়া, আমরা এশিয়ার অন্যান্য দেশ যাদের অর্থনীতির আকার কম তাদের যদি এ ধরণের পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার উত্সাহ দিই, তাহলে সমগ্র এশিয়ার জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা সুরক্ষা করা যাবে।