v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-10 15:30:16    
বোআও ফোরাম পূর্ব এশীয় দেশগুলোকে জ্বালানী সম্পদের সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে

cri

    চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের উপপরিচালক ছেন দ্যামিং বোআও ফোরামে পূর্ব-এশীয় দেশগুলোকে বাস্তব জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং যৌথভাবে জ্বালানী সম্পদের আবত্র বাস্তব নিরাপত্তা সমস্যা নিরসন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের উচিত একটি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নতুন জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। চীনের উচিত এ ব্যবস্থায় অংশ নেয়া। আমাদের উচিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় জ্বালানী সম্পদের যৌথ আবিষ্কারের সহযোগিতা ছাড়াও দূপণযুক্ত জ্বালানী সম্পদ বাস্তবায়ন ও জ্বালানী সম্পদ ব্যবহারের যোগ্যতা বাড়ানোর পদ্ধতি গবেষণা করা। এর জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।'

    জানা গেছে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় তেলের ভোক্তা দেশ এবং তৃতীয় আমদানিকারক দেশ। ২০০১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাজার তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও চীনের জিডিপি দ্রুত বাড়ার পরিস্থিতিতে চীনে জ্বালানী সম্পদের সরবরাহে স্থিতিশীলতা কম। সেজন্য তেলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটা এবং তেলের মূল্য বিপুলমাত্রায় বাড়ায় সৃষ্ট সংঘর্ষ এড়ানো হল চীনের জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।

    ছেন দ্যামিং বলেছেন, অনেক দেশের মত চীন কৌশলগত তেল মজুদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আকস্মিক জ্বালানীর অভাব মোবাবেলা করে। এ পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হয়। যাতে তেলের উচ্চ মূল্যের কারণে সৃষ্ট প্রভাব এড়ানো যায়। তিনি বলেছেন, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীনের কৌশলগত তেলের মজুদ ৩০দিনের আমদানির পরিমাণ হবে। এ পরিমাণ বর্তমানে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে অনেক কম। এ দু'দেশের কৌশলগত তেলের মজুদ ৯০ দিনের আমদানির পরিমাণ। জানা গেছে, চীন তেল মজুদ অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে এবং প্রথম চারটি কৌশলগত তেল মজুদের কেন্দ্র নির্মাণ করবে।

    ছেন দ্যামিং বলেছেন, চীনের জ্বালানী সম্পদের সরবরাহের উত্তেজনাময় পরিস্থিতে চীন আশা করে, পূর্ব-এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জ্বালানী সম্পদের ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করবে। যেমন, চীনের পরমাণু বিদ্যুত্ উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীনের পরমাণু বিদ্যুত্ যন্ত্রের উত্পাদনক্ষমতা ৪হাজার কিলোওয়াট হবে, যা বর্তমানের প্রায় ছয় গুণ। কিন্তু চীনের পরমাণু বিদ্যুত উত্পাদনের ব্যাপারে পরমাণু জ্বালানী সম্পদের অভাব ও পরমাণবিক ব্রর্জ্য মোকাবেলার অভিজ্ঞতা কম রয়েছে। সেজন্য চীনের উচিত যথাশীঘ্র পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা।

   

1 2 3 4