সুয়ে চুং ছেন একজন তাইওয়ানী ব্যবসায়ী। তিনি প্রথমে থাইল্যান্ডে মুক্তা ব্যবসা করতেন। দশ বারো বছর আগে তিনি চীনের মূলভূভাগে এসে ব্যবসা শুরু করেন। পূর্ব চীনের শাংতুং প্রদেশের ওয়েইফাং শহরে সুয়ে চুং ছেন নীলা ব্যবসা করার পর রিয়্যাল এস্টেট শিল্পে পূঁজি বিনিয়োগ করেছেন, উভয় ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি --- তাইওয়ানী ব্যবসায়ী সুয়ে চুং ছেনের কাহিনী আপনাদের শোনাবো।
শানতুং উপদ্বীপের মধ্যাংশে অবস্থিত ওয়েইফাং ঘুড়ির ভূমি বলে সুপরিচিত । সেখানে বসবাসকারী তাইওয়ানীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি। গত শতাব্দীর ৭০ দশকের শেষ দিকে চীনে সংস্কার ও উন্মুক্ত নীতি চালুর পর ওয়েইফাংয়ের কৃষি ক্ষেত্রের শিল্পায়ন দ্রুত উন্নত হয়েছে । এতে অনেক তাইওয়ানী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওয়েইফাংয়ে এসে পূঁজি বিনিয়োগ করতে আসৃষ্ট হন। তাঁরা ওয়েইফাংয়ে এসে কৃষিজাত দ্রব্যের আমদানী ও রপ্তানি করেন।
কিন্তু ১৭ বছর আগে সুয়ে চুং ছেন ওয়েইফাংয়ে আসেন সময় কৃষি কাজের জন্য নয়। একটি নীলা তাঁকে ওয়েইফাংয়ে নিয়ে এসেছেন। তিনি স্মরণ করে বলেছেন, "তখন আমার একজন সিঙ্গাপুরের বন্ধু একটি নীলা নিয়ে আমার কাছে আসেন। তিনি জানতে চান, সেটা কি? আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি, সেটা কোথায় থেকে পেয়েছেন? তিনি বলেন, পেইচিং ভৌগলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র তাঁকে দিয়েছেন। ১৯৮৯ সালে আমি পেইচিংয়ে গিয়ে সেই ছাত্রের সঙ্গে সাক্ষাত্ করি। তাঁর কাছ থেকে আমি ওয়েইফাংয়ের তথ্য জানলাম।"
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুয়ে চুং ছেন ওয়েইফাং আসেন। পরিদর্শনের পর তিনি আবিষ্কার করেছেন , এখানে প্রচুর নীলা রয়েছে। এমন কি খোলা মাটিতেও নীলা পাথর খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু স্থানীয় অধিবাসীরা তা দেখে সাধারণ পাথর মনে করে তেমন মূল্য দেয় নি।
1 2 3
|