আইন অনুযায়ী, লি উ সিয়োং বান্ধবীকে বিয়ে না করার কারণে মেয়ের জন্য তিনি কোনো বাসস্থান রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন না। শুধুমাত্র তাঁর বান্ধবী বা তাঁর বান্ধবীর আইনগত স্বামীই মেয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ করতে পারেন।
এখান থেকে শুরু হয় মেয়ের জন্য বাসস্থান রেজিস্ট্রেশন করার একটি লম্বা প্রক্রিয়া । মেই চাইয়ের মা এবং তাঁর আইনগত স্বামী এখন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না লি উ সিয়োং।
ভালো বন্ধু ছাই কোর প্রস্তাবে বাবা মেয়েকে নিয়ে চলে যান রাজধানী তাইপেতে। সেখানে তিনি ছোটবেলায় একসাথে প্রাথমিক স্কুলে পড়া এক সহপাঠীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তিনি এখন আইন কমিটির একজন কর্মকর্তা। তবে তাঁর প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়। সবাই তাঁকে একই রকমের কথা বলেন। সবাই তাঁকে বলেন, "আপনাকে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আপনি মেই চাইয়ের বাবা, তা সত্ত্বেও, আইনের ক্ষেত্রে আপনি তার আইনি পিতা নন। তাই আপনি মেই চাইয়ের জন্য বাসস্থান রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না।"
কোনো উপায় না দেখে বাবা দারুণ হতাশ হয়ে পড়েন । অবশেষে তিনি নিজ উপায়েই এই সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি মেয়েকে নিয়ে উড়ালসেতু থেকে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। এটি হলো এ চলচ্চিত্রের প্রথম দৃশ্য।
পুলিশ বলপ্রয়োগে তাদের দু'জনকে উদ্ধার করেন এবং মেয়েকে বাবার কাছ থেকে অনেক দূরে নিয়ে যান। বেশ কয়েকজন শক্তিশালী কর্মী বাবাকে মাটিতে চেপে ধরেন । তিনি স্বচক্ষে ধীরে ধীরে মেয়ের দূরে চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখেন, আর এসময় তাঁর আর্তচিত্কারে কেপে উঠে চারপাশ।
দু'বছর পর বাবা জেল থেকে মুক্তি পান।