guangying
|
guangying
|
ঘটনাস্থলের চারপাশে লোকজনে ভরপুর। পুলিশ, চিকিত্সক, অ্যাম্বুলেন্স, টিভি কেন্দ্রের সংবাদদাতা, পথচারী এবং টিভির সামনের দর্শকসহ সবার দৃষ্টি সেই পুরুষ এবং মেয়ের দিকে। এসময় পুলিশের পাঠানো আলোচনাকারী সেই পুরুষের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। আলোচনাকারী তাদেরকে বলেন, তোমরা জাম্প করো না, তোমরা কি কি চাও? সেই পুরুষ তখন উত্তরে মাত্র একটা কথা বলেন, তা হলো 'এই সমাজ অন্যায়কারী'। এখান থেকেই শুরু হয় পুরো চলচ্চিত্রের কাহিনী।
তাইওয়ানের কাও সিয়োং শহরের একটি ছোট্ট মাছধরা গ্রামের একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ হলেন লি উ সিয়োং । তিনি সমুদ্রে ডাইভিং করে পণ্যবাহী জাহাজ পরিষ্কার ও মেরামত করার মাধ্যমে টাকা-পয়সা উপার্জন করেন । তাঁর বান্ধবী ৭ বছর আগে এক কন্যা সন্তান প্রসবের পর পরই তাঁকে না জানিয়ে তাঁকে ছেড়ে দূরে চলে যান। ফলে তিনি একাই মেয়েটিকে লালনপালন করা শুরু করেন। তিনি মেয়েটির নাম রাখেন মেই চাই ।
সমুদ্রের পাশের একটি গুদাম ছিলো বাবা এবং মেয়ের বাড়িঘর। এখানে তাঁরা দু'জন একে অপরের ওপর নির্ভর করে জীবন কাটাতেন। তাঁদের দৈনন্দিন জীবনও সহজ এবং সরল। যদিও পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে তাঁরা খুব সমৃদ্ধ নয়, তবে এতেই তাদের মন খুব উষ্ণ ও পরিপূর্ণ।
প্রতিবার সমুদ্রে ডাইভিং করার আগে বাবা মেয়ের সঙ্গে করমর্দন করতেন। মেয়ে সবসময় জাহাজের পাশে শুয়ে সমুদ্রের ভেতরে তাকিয়ে তাকিয়ে বাবার জন্য অপেক্ষা করতো। সমুদ্রে কাজ করা বাবা জাহাজের পাশে মেয়ের ঝাঁকানো ছায়া দেখতে পান।
একদিন বাবা জিজ্ঞাস করেন, সমুদ্র এত গভীর, তুমি আমাকে দেখতে পাও? মেয়ে খুব নিশ্চিত করে মাথা নাড়িয়ে বলে, হ্যাঁ, অবশ্যই, আমি সবসময় তাকিয়ে থাকি, তারপর তোমাকে দেখতে পারি।
দিনে দিনে মেই চাই বড় হয়ে উঠে। তাকে স্কুলে যেতে হবে। এর জন্য যখন বাবা বাসস্থান রেজিস্ট্রেশন করতে যান, তখন তিনি আবিষ্কার করেন যে, তাঁর বান্ধবী ৭ বছর আগেই বিয়ে করে ফেলছেন।