

বাইডেন বলেন,"আমাদের দুই দেশের মতো জটিল সম্পর্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র-চীন কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সংলাপ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আমরা ভালোভাবে দু'দেশের সম্পর্ক রক্ষা করতে পারি, তাহলে আমাদের প্রজন্ম ও তাদের প্রজন্মকে আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যত দিতে পারবো। বলা যায়, গোটা বিশ্বের জন্য তা হিতকর হবে।"
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই বৃহত্ দেশ। এবারের যুক্তরাষ্ট্র-চীন কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সংলাপ হচ্ছে নতুন মাইলফলক। তিনি আশা করেন, দু'পক্ষ দু'দেশের শীর্ষনেতাদের বৈঠকের চেতনা অনুসরণ করে আন্তরিকভাবে যোগাযোগ করবে, পারস্পরিক বোঝাপড়া গভীর করবে, আস্থা বাড়াবে, সন্দেহ দূর করবে, উত্তমরূপে মতভেদ দূর করবে, সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে এবং সংলাপের সিদ্ধান্তকে বাস্তব কার্যকলাপে রূপান্তর করবে।
অর্থমন্ত্রী জ্যকোব লু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে পরস্পরের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। তিনি বলেন, 'এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক নীতি পরস্পরের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কারণ আমাদের অর্থনীতি পরস্পরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ফলে আমাদের নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভারসাম্য, অনুকূলতা ও মিশ্রতা নিশ্চিত করতে হবে।"
লু জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতির ধারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তিনি অমিল পাশে রেখে মিল অন্বেষণ করা, আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য এগিয়ে নেওয়া এবং যৌথভাবে নানা ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য দু'পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।"
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রাষ্ট্রদূত ছুই থিয়েন খাই বলেন, "এ দফা সংলাপে দু'দেশের বিশটিরও বেশি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। সংলাপের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল রাজনৈতিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও অর্থ এবং আমাদের দুই অঞ্চলসহ বিশ্বের নানা পর্যায়ের বিষয়। এ সংলাপ আয়োজনের সময় গুরুত্বপূর্ণ এবং এর তাত্পর্য সুগভীর।" (ইয়ু/এসআর)




