Web bengali.cri.cn   
পঞ্চম চীন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সংলাপ
  2013-07-15 17:25:33  cri

ওয়াং ইয়াং ৯ জুলাই 'ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল' পত্রিকায় 'চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ কাজে লাগানো' শীর্ষক এক স্বাক্ষরযুক্ত নিবন্ধ লেখেন। নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দু'দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করেছে, আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং দু'দেশের জনগণের জন্য সুযোগ-সুবিধা বয়ে এনেছে। তবে এর সাথে তিনি স্বীকার করেন যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মতভেদও রয়েছে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে কেউ কেউ মনে করেন, চীনারা মার্কিনীদের চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্বত্ব চুরি করেছে। তিনি মনে করেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অবস্থার বিশাল ব্যবধানের কারণে এমন ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। মতভেদ দূর করার একমাত্র উপায় হচ্ছে যোগাযোগ জোরদার করা এবং পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো।

চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ইয়াং চিয়ে ছি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, এখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন ঐতিহাসিক সূচনাস্থলে দাঁড়িয়ে আছে। নতুন পরিস্থিতি, নতুন সুযোগ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সংলাপের জন্য নতুন কর্তব্য ও দায়িত্ব সৃষ্টি করেছে। তিনি আশা করেন, দু'পক্ষ উদ্ভাবনী চেতনা নিয়ে এ সংলাপে সফলতা অর্জনের প্রচেষ্টা চালাবে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে।

ইয়াং চিয়ে ছি 'ওয়াশিংটন পোস্ট' পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কেবল দু'দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে তা নয়, বরং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তথা বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে নেবে। তিনি মনে করেন, ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সমাজ ব্যবস্থা আর উন্নয়নের পর্যায় ভিন্ন বলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, তবে দু'দেশ যদি তাদের শীর্ষনেতাদের নির্ধারিত পথ অনুসরণ করে, যৌথভাবে নতুন ধরনের বৃহত্ দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালায়, পরস্পরকে সম্মান করে এবং সহযোগিতার পদ্ধতিতে উভয়ের স্বার্থ অর্জন করে, তাহলে ভালোভাবে মতভেদ নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হবে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোয় বাইডেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী বৃহত্ দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দু'পক্ষের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সহযোগিতা থাকলেও তাদের সম্পর্ক শূন্য-ফলাফল নয়।

1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক