

অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে উন্নত দেশগুলোর এ সংস্থা জানায়, এ বছর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৯ শতাংশ। আগামী বছর তা সামান্য বেড়ে হতে পারে ২.৮ শতাংশ। এর পাশাপাশি ঋণ সংকটে নিপতিত ইউরোজোনের অর্থনীতিতে এ বছরও ০.৬ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে। তবে ২০১৪ সালে এ দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১.১ শতাংশ।
সংস্থার মতে, এশিয়ার দুই বৃহত্ অর্থনীতি চীন ও ভারত অগ্রযাত্রা বজায় রাখবে আগামী দিনগুলোতে। কয়েক বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে সব দেশকে ছাড়িয়ে যাবে চীন এমন পূর্বাভাস রয়েছে। চীন এ বছরও ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং আগামী বছর তা বেড়ে হবে ৮.৪ শতাংশ।
পূর্বাভাস প্রতিবেদনে ওইসিডি বলেছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত বড় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি করবে চীন এবং আগামী কয়েক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে অতিক্রম করবে দেশটি।
এবার ভারতকে নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ওইসিডি। পূর্বাভাসে বলা হয়, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্ বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে সম্ভবত জাপানকে অতিক্রম করছে ভারত, যদিও সংস্থা চলতি বছর ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৫.৩ শতাংশ নির্ধারণ করে। গত বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল একদশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.৮ শতাংশ। ওইসিডির মতে, এবার সে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে ভারতের। এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৩ শতাংশ আর আগামী বছর ৬.৪ শতাংশ।
ওইসিডি জানায়, উদীয়মান আরেক দেশ ব্রাজিলের অর্থনীতি এ বছর ২.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং আগামী বছর এ হার হবে ৩.৫ শতাংশ। রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি এ বছর হবে ২.৩ শতাংশ এবং আগামী বছর ৩.৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বেশির ভাগ উদীয়মান দেশ ক্রমেই জোরালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে, যা উন্নত বিশ্বের চেয়ে অনেক ভালো। প্রতিবেদনে বলা হয়, আশা করা যায় আগামী বছরের শেষ নাগাদ উদীয়মান বিশ্বের প্রবৃদ্ধি জোরালো হতে থাকবে।
সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে ব্রিকস দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সম্মিলিত জিডিপি ওইসিডি দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপির সমান হবে। (সূত্র: এএফপি, ইকোনমিক টাইমস)

| ||||



