

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে এই খবর জানানো হয়।
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া রাজধানীর পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত রয়েছে। হরতালে গতকালের তুলনায় আজ যান চলাচল অনেকটা বেড়েছে। সড়কে গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি কম চলছে। বিভিন্ন প্রধান প্রধান এলাকায় দোকানপাট খোলা রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা রয়েছেন। সকাল থেকেই তাঁরা হরতালবিরোধী খণ্ড খণ্ড মিছিল করছেন।
উল্লেখ্য টানা চতুর্থ দিনের মতো গতকাল রোববারও দেশজুড়ে সহিংসতা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। তাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে গতকাল ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। উপড়ে ফেলেছে রেললাইন। ভেঙে দিয়েছে সেতু। কেটে ফেলেছে রাস্তা। ভেঙেছে শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। তারা গতকালও অন্তত দুই জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে। পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশের আরও এক সদস্যকে।
নৈরাজ্য ঠেকাতে কয়েকটি স্থানে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছেন। এতে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন। গাজীপুরে পিকেটিং করতে গিয়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন শিবিরের এক নেতা। গতকাল মোট মারা গেলেন ২২ জন। এর আগে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের হাতে গত বৃহস্পতিবার ৩৭ জন, শুক্রবার তিনজন ও শনিবার ছয়জন নিহত হন। এ নিয়ে চার দিনে ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশের সদস্য রয়েছে ছয়জন। (লিপন)

| ||||



