|
তিনি আরও বলেন, 'আসলে সিঙ্গাপুর হলো বহু জাতিক একটি সমাজ। চলচ্চিত্রে বহুত্ব ও সম্ভাবনা প্রদর্শন করা উচিত্। 'ইলো ইলো' চলচ্চিত্রটি সিঙ্গাপুরের চলচ্চিত্রে উত্তাল জোয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম বলে তিনি আশা করেন।'
৫০ বছরের ইতিহাসসম্পন্ন 'গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ড'র জন্য টাটকা রক্ত এবং প্রাণবন্ত শক্তি খুব দরকার। এবার সিঙ্গাপুরের চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ায় পরবর্তী ৫০ বছরে আং লি এবং তার নেতৃত্বে এবারের জুরি বোর্ডের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরা হয়। তা হলো আরও তরুণ, আরও বিশাল ও উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি।
চীনের 'গোল্ডেন রুস্টার অ্যান্ড হান্ড্রেড ফ্লাওয়ার্স ফিল্ম ফেস্টিভাল', 'হংকং ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড'র তুলনায় 'গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ডে' অংশ নেওয়া চলচ্চিত্রের শর্ত তুলনামূলকভাবে শিথিল করা হয়। ২০০৭ সালে গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ডের উদ্যোক্তা এতে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত আরও শিথিল করে দেন। যে চলচ্চিত্রে চীনা ভাষার সংলাপ এবং চীনাদের অংশগ্রহণ আছে, সে চলচ্চিত্র এতে অংশ নিতে পারে।
ছেন চে ই দেখতে খুবই সুদর্শন। কথা বলার গতি খুব দ্রুত নয়, খুব ধীরও নয়। আগে তিনি পেশাগত জীবনের শুরুতে সাময়িকভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ করে ব্রিটেনে লেখাপড়া করতে যান। লেখাপড়া শেষ করে তিনি 'ইলো ইলো' চলচ্চিত্র নির্মাণ করে কান চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নেন। তারপর গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।
হয়তো ছেন চে ই'র পুরস্কার পাওয়া তার মতো সিঙ্গাপুরের নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালকদের উত্সাহিত করবে।
এবারের 'গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ড'র পর সিঙ্গাপুর বা গোটা চীনা ভাষার চলচ্চিত্রাঙ্গনে ছেন চে ই'র মতো আরও বেশি প্রতিভাবান তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
'আলোছায়া' পরিবেশনায় লিলি লাবণ্য ও এনামুল হক টুটুল।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |