|
এরপর একটি যুদ্ধ ঘোড়া হিসেবে শুরু হয় জোইয়ের জীবন। যুদ্ধের প্রক্রিয়ায় জোইয়ের মালিকের পরিবর্তন ঘটে। আর জোইও ধীরে ধীরে একটি যোগ্যতাসম্পন্ন যুদ্ধ ঘোড়ায় পরিণত হয়।
অন্য দিকে জোইয়ের প্রিয় মালিক আলবার্ট যুদ্ধের প্রক্রিয়ায় বুলেট এর শিলাবৃষ্টিতে পরিপক্ব হয়ে ওঠেন। জোইকে খুঁজে বের করার জন্য তিনি বাহিনীতে যোগ দেন।
একবার যুদ্ধে শত্রুদের বিষবাষ্পে আলবার্টের চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জোই সারা শরীরে ক্ষত নিয়ে শিবিরে ফিরে আসে। সামরিক চিকিত্সক জোইয়ের চিকিত্সা ত্যাগ করতে চান, কেননা জোইয়ের শরীর এতটাই আঘাতপ্রাপ্ত যে চিকিত্সার সময় আরো কষ্ট দেওয়ার চেয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা আরো দয়ার কাজ।
এখানে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে ট্র্যাজিক একটি দৃশ্য দেখা যায়। শিবিরে আলবার্ট শুনতে পান যে, এখানে একটি হিরো ঘোড়া এসেছে। একথা শুনে তিনি জোইকে ছোটবেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় যে বাঁশি বাজাতেন তা আবার বাজানো শুরু করেন। আঘাতপ্রাপ্ত চোখ ঢেকে রেখে তিনি আস্তে আস্তে জোইয়ের কাছে চলে যান।
হ্যাঁ, আলবার্ট এবং জোইয়ের পুনর্মিলনে শেষ হয় গোটা চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রের শেষে দেখা যায় সূর্যাস্তের সময় জোইকে ধরে ধীরে ধীরে বাসার দিকে যাচ্ছেন আলবার্ট। আসলে এই দৃশ্যের যে গভীর তাত্পর্য আমাদের মনে উকি দেয় তা হয়তো ভাষায় বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা, তা কেবল উপলব্ধিযোগ্য। (লিলি/টুটুল)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |