রাজুর একটি স্বপ্ন ছিলো। তা হলো স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পর একজন প্রকৌশলী হওয়া। কিন্তু পরিবার খুব দরিদ্র বলে তাঁর আত্মবিশাসের অভাব। বাবা আগে একটি ডাকবিভাগের প্রধান ছিলেন। পক্ষাঘাত গ্রস্থ হওয়ার পর বিছানায় থাকতে হতো। মা সবসময় ছেলের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেন। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না থাকায় বড় বোনের বিয়েতে যৌতুক হিসেবে গাড়ি কিনে দিতে পারে না বলে বোনটির বিয়ে হয় না। পরিবারের সকল সদস্যের আশা যে রাজু নিশ্চয়ই একদিন তাদের সব কষ্ট আর দুঃখের অবস্থা থেকে মুক্তি দিবে। কিন্তু রাজুর মানসিক চাপ সহ্য করতে পারতেন না। এ জন্য একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। কিন্তু এই ঘটনার পর রাজু নিজের জীবনকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চাইলেন। ঠিক এই সময়ে রেনচোসহ ঘনিষ্ট বন্ধুর সাহায্যে রাজু বেঁচে থাকা আর জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার আত্মবিশাস খুঁজে পায় এবং অবশেষে একজন প্রকৌশলীও হয়ে ওঠেন।

ছোটবেলা থেকে ফারহান একজন আলোকচিত্রকর হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু পরিবারের চাপের কারণে তিনি প্রকৌশল স্কুলে ভর্তি হন। রেনচোর অনুপ্রেরণায় তিনি সাহস সঞ্চায় করে বাবার কাছে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এবং অবশেষে বাবার স্বীকৃতি পেয়ে একজন বিখ্যাত পশুপ্রাণী আলোকচিত্রী হয়ে উঠেন।

চাটুর ছিলেন কলেজের শিক্ষক ও পরিচালকের চোখে তথাকঠিত ভালো ছাত্র। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতেন ঠিকই কিন্তু তিনিই একটু কুটিল স্বভাবের লোক। নিজের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য তিনি সবসময় এক ধরনের ঔষুধ খেতেন। এমন ধরনের ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে খুব দুগন্ধ ও বিরক্তিকর শব্দে বায়ু নিস্কাশন করা। পরীক্ষার আগে নিজকে একটি ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সহাপাঠীদের সামনে কোনো নগ্ন আর উত্তেজনাকর ছবি সম্বলিত মেগাজিন দেখিয়ে তাদের লেখাপড়ার মনোযোগে ব্যহত করতেন।