|
ইয়োং সু যেন মুক্তি পেল, সিউলে ফিরে গেল আবারো সেই তার আগের মতো উত্সৃঙ্খল, মদ্যপ জীবনে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর ইয়োং সু এবার সত্যিই উপলব্দি করল, যে সুখের সন্ধানে গ্রামের শান্ত, সুন্দর, মনোরম পরিবেশ আর পবিত্র প্রেমের জীবন ছেড়ে চলে এসেছে সে সুখ তো এখানে নেই। 'প্রতিদিন ইচ্ছা মতো মদ খাচ্ছি, তামাক খাচ্ছি, আনন্দ-ফূর্তি করছি কিন্তু সুখ কোথায়, কেন সব শূন্য, রিক্ত মনে হয়'।
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন এখানে সই দৃশ্য দেখানো হয়।
ইয়োং সু ধীরে ধীরে গ্রামে থাকা ইন সি'র সঙ্গে কাটানো সেই সহজ ও সরল জীবনের প্রতি তীব্র আবেগ তাড়িত হয়ে উঠতে থাকে, ছেড়ে আসা জীবন তার মনে অনুশোচনার জন্ম দেয়।
জীবনের এই টালমাটাল অবস্থায় একদিন হঠাত ইয়োং সু আবার তাঁর পুরোন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে স্বাস্থ্যনিবাস- 'আশার বাড়ির' একজন কর্মী ঐ হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসে আর তাঁকে জানায় যে, ইন সি এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে, তবে সে এখনো তাকে ভালবাসে। ইয়োং সু'র হৃদয় যেন দুমড়ে-মুচড়ে উঠলো, নিজেও অসুস্থ তবুও তাড়াহুড়া করে ছুটে যায় হাসপাতালে ইন সিকে দেখার জন্য। ইন সি'র দিকে তাকিয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না, তীব্র আবেগ আর অনুশোচনায় ইয়োং সুর চোখ ভিজে যায় জলে।
মৃত্যুর পথে একাকী ইন সি'কে জড়িয়ে ধরে রাখে সারাক্ষণ। ইন সি'ও যেন এই চেয়েছিল, শেষ বেলার শেষ ক্ষণটিও যেন ভালবাসায় পূর্ণ থাকে এইটুকু ছিল তার চাওয়া। ইয়োং সু'র বুকে মাথা রেখে ধীরে ধীরে শান্তভাবে প্রশান্তির মৃত্যু-দেশে চলে যায় ইন সি। ইন সি'র মারা যাওয়ার পর ইয়োং সু আবার সেই 'আশার বাড়িতে' ফিরে যায়। সেখানে ইন সি'র সাথে জড়িয়ে থাকা সব সুখ-স্মৃতিগুলোকে নিয়ে জীবনের বাকি দিনগুলি কাটিয়ে দেয় একা, শুধুই একাকী।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |