|
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে মেয়েটি একটু বেশিই খুতখুতে। সে একা একা স্কুলে যায়, একা একা খায় এবং রাতে মায়ের জন্য অপেক্ষা না-করে একা একা শুতে যায়।
একসময় মা নিজের রোগের সম্পর্কে জানতে পারেন এবং মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হন। তিন চান মেয়ে নিজের খুতখুতে স্বভাব পরিবর্তন করে সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দে বসবাস করুক। তিনি চান তার মেয়েও অন্য দশটা মেয়ের মতো প্রেমে পড়ুক এবং বিয়ে করুক। একদিন মা মেয়েকে বললেন, তিনিতো আর সারা জীবন মেয়ের যত্ন নিতে পারবেন না। কিন্তু মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে, "আমি সারা জীবন একা একা কাটাতে পারি।" এই কথা বলার সময় সে মার রোগের অবস্থা কিছুই জানতো না।
এদিকে, মেয়ের জন্মদিনে মা মনোযোগ দিয়ে মেয়ের জন্মদিনের পার্টির আয়োজনের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু মেয়ে একজন বন্ধুকেও আমন্ত্রণ জানায়নি। এই দিনে মেয়ে আবিষ্কার করে, তার মা অসুস্থ। তখন থেকেই সে প্রতিদিন মায়ের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। সে লক্ষ্য করল, মা প্রতিদিন প্রচুর ওষুধ খান এবং বেশি বেশি বমি করেন। ছোট মেয়েটি যেন রাতারাতি বড় হয়ে গেল। সে নিজেই নিজের চুল আচঁড়াতে শুরু করে। বৃষ্টির দিনে ছাতা নিতে ভোলে না।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |