প্রথমবারের মতো চার্লি জানলেন যে, তাঁর একজন বড় ভাই আছেন। অর্থকড়ি সম্পর্কে রেমন্ডের কোনো ধারণা নেই, অথচ সে-ই কিনা বাবার বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে গেলেন! চার্লির খুব রাগ হল। তিনি ভাবলেন, বাবা ইচ্ছে করে তার সঙ্গে তামাশা করেছেন এবং তাকে শাস্তি দেয়ার জন্যই এ-কাজ করেছেন। বাবার প্রতি চার্লির সব অসন্তুষ্টি ও ঘৃণা গিয়ে পড়লো বড় ভাই রেমন্ডের ওপর। চার্লি বড় ভাইকে ব্যবহার করে, বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের ওপর নিজের দখল কায়েম করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
নার্সিং হোমের মহাপরিচালক ব্রুনার অনুমোদন ছাড়াই চার্লি নিজ উদ্যোগে রেমন্ড নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। কারণ, রেমন্ডের অভিভাবকত্ব অর্জন করলেই কেবল তিনি বাবার সম্পদের ওপর নিজের দখল কায়েম করতে পারবেন। মেয়েবন্ধু সুসানা চার্লির এ-সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারলেন না; তিনি চার্লিকে পরিত্যাগ করলেন।
1 2 3 4 5 6