|
চার্লির বাবা মারা যাওয়ার পর দেখা গেল, তার বাবা তাকে সেই গাড়িটি উইল করে দিয়ে গেছেন, যেটি চার্লি ১৬ বছর বয়সে বাবার বিনা অনুমতিতে বাইরে নিয়ে গিয়েছিল। উইলে চার্লিকে তাদের বাড়ির সামনের বড় ফুলের বাগানটিও দেয়া হয়। অন্যদিকে, বাকি প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি তার বাবা উইল করে দিয়ে যান অন্য একজনকে।
স্বাভাবিকভাবেই চার্লি খুব হতাশ হলেন। তার ভীষণ রাগও হলো। তার ধারণা ছিল, তিনিই বাবার একমাত্র উত্তরাধিকারী। তার চার্লি হাল ছেড়ে দিলেন না। তিনি তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির খোঁজখবর করতে লাগলেন।
অনেক চেষ্টার পর চার্লির মেয়েবন্ধু সুসান্ন একটি নার্সিং হোমের খোঁজ পেলেন। নার্সিং হোমটির মহাপরিচালক ব্রুনারই হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যাকে চার্লির বাবা তার প্রায় সকল সম্পত্তির ট্রাস্টি করে গেছেন। ভদ্রলোক তিনি চার্লির অনেক পুরনো এবং বেস্ট ফ্রেন্ড। তিনি চার্লির বাবার উইল অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি দেখা-শোনা করছেন। আর এর সুবিধা ভোগ করছেন এই নার্সিং হোমেই দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসা চার্লির বড় ভাই রেমন্ড। রেমন্ড 'অ্যাসপার্জারস সিন্ড্রোম' রোগে আক্রান্ত। তিনি স্বাভাবিকভাবে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারেন না; তার কোনো স্বাভাবিক সামাজিক জীবনও নেই।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |