|
ডেকে দাঁড়িয়ে তাঁর ওপর আশা রাখা স্বদেশবাসীদেরকে দেখে লিউ ছাং ছুনের মনে মিশ্র অনুভূতি জাগে। আগেকার দিনগুলো নিয়ে তিনি স্মৃতিচারণ করতে শুরু করেন।
চলচ্চিত্রটি এখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
১৯৩১ সালে 'অষ্টম সেপ্টেম্বর' ঘটনার প্রাক্কালে তখন তিনি তোং পেইচিং ইউনির্ভাসিটির একজন ছাত্র ছিলেন।
একবার জাপানের একজন ক্রিড়াবিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় তিনি চ্যাম্পিয়ন হলেও প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় দৌড়ের কৌশল লংঘন করেছেন। ইউনির্ভাসিটিতে ফিরে যাওয়ার পথে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে যখন তিনি এবং তাঁর জার্মান প্রশিক্ষক দৌড়ের প্রযুক্তি নিয়ে বাদ প্রতিবাদ করছেন তখন তোপধ্বনি থেকে বোঝা যায় যে, চীন-জাপান যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
তারপর তোংপেই ইউনির্ভাসিটির ভার-প্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্কুল ভেঙ্গে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হন। ফলে লিউ ছাং ছুন তাঁর প্রশিক্ষণ ও পোড়াশোনা ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
জার্মান প্রশিক্ষকের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার সময় প্রশিক্ষকের কথা শুনে লিউ ছাং ছুনের মনে অলিম্পিক গেমসের প্রতি আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়।
লিউ ছাং ছুন জন্মস্থান তাই লিয়ানে ফিরে আসেন। তিনি জাপানীদের উত্তর পূর্ব চীনের সার্বিক দখল স্বচোখে দেখেন। অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়া সম্পর্কিত আবেদনের প্রচেষ্টা চীনের তখনকার জাতীয় সরকারের প্রত্যাখ্যান জানানো একটি চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যায় । স্ত্রী চিয়াং সিউ চেনের সমর্থনে লিউ ছাং ছুন নিজের স্প্রিন্ট প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখেন।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |