হাইখো শুল্কমুক্ত দোকান কীভাবে পণ্য ক্রয় করে? এ প্রশ্নের উত্তরে সুন ইয়ো বলেন, 'এখন আমরা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর শুল্কমুক্ত কোম্পানি ডিএফএস-এর সাথে সহযোগিতা করি। তারা আমাদের যথেষ্ঠ পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করে। আমরা প্রতিদিন হিসাব করে দেখি, আমাদের ভাণ্ডারে আরো কত পণ্য আছে। রোজ আমরা দু'বার দোকানে নতুন পণ্য সরবরাহ করি, যাতে দোকানে সবসময় যথেষ্ঠ পণ্য থাকে।'
'দ্বীপ শুল্কমুক্ত' নীতি অনুযায়ী, হাইনান প্রদেশের নাগরিকসহ দেশি-বিদেশি যে কোনো ১৮ বছর বয়স্ক যাত্রী বিমানে করে হাইনান দ্বীপ ত্যাগ করার সময় শুল্কমুক্ত পণ্য কিনতে পারেন। তবে হাইনান দ্বীপের বাইরে থেকে আসা পর্যটক প্রতি বছর দু'বার শুল্কমুক্ত পণ্য কেনার সুবিধা পান আর হাইনান দ্বীপের অধিবাসীরা বছরে একবার শুল্কমুক্ত পণ্য কেনার সুযোগ পান। একবার ৫০০০ ইউয়ান মূল্যের পণ্য কিনলে শুল্কমুক্ত হয়। একবার কেবল ৫০০০ ইউয়ানের চেয়ে বেশি দামের একটি পণ্য কিনতে পারা যায় এবং এর জন্য ০ থেকে ১০ শতাংশের শুল্ক দিতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের শুল্কহার ভিন্ন। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় সংখ্যারও সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন একজন যাত্রী একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি প্রসাধন সামগ্রী বা পোশাক কিনতে পারেন। বাক্স ও ব্যাগ, ঘড়ি ও অলংকার একবার সর্বোচ্চ ২টি কেনা যায়।
যদি কোনো পর্যটক সানইয়া শুল্কমুক্ত দোকান থেকে ৫০০০ ইউয়ানের পণ্য না কেনেন, তাহলে বাকি মূল্যের পণ্য হাইখো মেইলান বিমানবন্দরের শুক্তমুক্ত দোকান থেকে কিনতে পারেন। দোকানের একজন কর্মী জানান,'একজন ক্রেতা সানইয়াতে কেনাকাটার সময় সানইয়া শুল্কমুক্ত দোকান ক্রয়সংশ্লিষ্ট উপাত্ত গণসেবা প্লাটফর্মে পাঠায়। ওই ক্রেতা যখন হাইখো শুল্কমুক্ত দোকানে যান, তখন নিজের পরিচয়পত্র দেখালে তিনি সানইয়াতে কী কী পণ্য কিনেছেন, সে সব তথ্য গণসেবা প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে। হাইখো শুল্কমুক্ত দোকানের কর্মীরা এ উপাত্ত অনুযায়ী ক্রেতাকে জানাতে পারেন, তিনি আরো কত টাকার পণ্য কিনতে পারবেন।'
এখন শুল্কমুক্ত দোকান হাইনানের এক নতুন পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে। শুল্কমুক্ত দোকান পণ্যের উত্স সংগঠন, কর্মীদের প্রস্তুতি ও তথ্য ব্যবস্থা উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে নানা কাজ করছে। তারা ক্রেতাদের জন্য আরো সুবিধাজনক ও উন্নত মানের কেনাকাটার পরিবেশ যোগানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। (ইয়ু/এসআর)
1 2