হাত ছেড়ে দিলে কাঠের পাটা দুধের উপরে উঠে ।কাঠের পাটা শতক-বার ডোবানো-উঠানো পর দুধ থেকে ঘি পৃথক হয়ে উপরে উঠে আসে ।বালতি থেকে ঘি তুলে আবার ছাঁকনি দিয়ে ছাঁকতে হয় । পরিস্কার ঘি হাত দিয়ে চাপড়াতে চাপড়াতে তা দলা হয়ে গরু বা ভেড়ার ছানার চামড়া দিয়ে তৈরী থলিতে ভরার উপযোগী হয় ।
ঘি তৈরীর কাজ যেমন একঘেঁয়ে তেমনই শ্রমবহুল । ঘি তৈরীর সময় মেয়ারা সাধারণত:যে গান গায় তাতে ক্লান্তি সহজে ভুলে যাওয়া যায় এবং মনে মনে পরিশ্রমের ভেতরেও আনন্দের উদ্রেক হয়।
ঘি খাওয়ার অনেক পদ্ধতি প্রচলিত । তবে প্রধানত: চা ও বার্লির গুঁড়ার সংগে মিশিয়ে খাওয়া হয় । নানা উত্সব উপলক্ষে চাল ও ময়দার পিঠা ভাজার সময়ও প্রচুর ঘি ব্যবহার করা হয় ।
( পাই খাই ইউয়ান) 1 2 3 |