আফ্রিকার কন্ঠঃ চীন ভালোভাবে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করায় আমাদের অভিন্ন শত্রুরা লজ্জা পাবে।
মরক্কোর শ্রোতা ইদ্রিস বুয়াদিনা সি আর আই অন লাইন-এর আরবী ইন্টারনেটে পাঠানো একটি ই-মেইলে বলেন, চীন হচ্ছে দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকসম্পন্ন একটি দেশ। এবারের অলিম্পিক গেমস চীনের জন্য তাত্পর্য সম্পন্ন। বিশ্বের দৃষ্টি এখন পেইচিংয়ের ওপর। আমরাও আন্তরিকভাবে অলিম্পিক গেমস সুষ্ঠুভাবে শুরু হওয়ার আপেক্ষায় রয়েছি। অলিম্পিক গেমস বিশ্বের একটি মহা সম্মিলনী। অলিম্পিক গেমস বর্জন করা বিশ্বের সঙ্গে প্রতারনা করার মতো ঘটনা এবং আমাদের মতো চীনকে পছন্দ করা সব দেশকে শত্রু হিসেবে নির্ধারণের শামিল। খুশির ব্যাপার হলো, চীন সরকার এবং স্থানীয় সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় লাসা শহরে এখন শান্তি ফিরে এসেছে।
ইদ্রিস আরো বলেন, মরক্কোর ধর্ম বিশ্বাসে অধিকারী একটি দেশ। আমাদের ধর্ম বিশ্বাস পবিত্র। সামাজিক সম্প্রীতি, দেশের স্থিতিশীলতা এবং বিশ্বের শান্তি বাস্তবায়নে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
আলজেরিয়ার শ্রোতা বেন আমির আইদ তাঁর চিঠিতে বলেন, তিব্বতে সংঘটিত ভাংচুর, লুটতরাজ এবং অগ্নিসংযোগসহ হিংসাত্মক ঘটনা খুব দুঃখজনক। এটি সম্ভবতঃ বিদেশে বসে বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্রের গোপন পরিকল্পনার প্রতিফলন। তারা এবারের ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০০৮ অলিম্পিক গেমস আয়োজনের কাছাকাছি সময় চীনের সুনাম নষ্ট করতে চায়। নিজেদের আইন অনুযায়ী উপযুক্ত উপায়ে দেশের নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করা সশস্ত্র ঘটনার অবসানে চীনসহ যে কোন দেশেরই ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। এটি হচ্ছে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাতে কোন দেশের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।
নাইজেরিয়ার শ্রোতা সাল্লাসু সি আর আই অন লাইন-এর হাওসা ইন্টারনেটে পাঠানো ই-মেইলে বলেন, সম্প্রতি প্রতিদিন আমি আপনাদের ওয়েব-সাইটে দেখি। আমি আপনাদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জেনেছি। আমি বলতে চাই, তিব্বত সমস্যা চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি এবারের ঘটনায় চীন সরকারের অবস্থান ও পদক্ষেপকে সমর্থন করি এবং পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের তথ্য মাধ্যমের তিব্বত সমস্যার মাধ্যমে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করারও বিরোধিতা করি। তা ছাড়া, আমি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে তিব্বত সমস্যাকে সংযুক্ত করার বিরোধিতা করি।
1 2 3 4 5
|