আসলে স্ক্রিপ্ট বেছে নেয়ার মাধ্যমে একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা বোঝা যায়।
'দ্য পার্কস অব বিং এ ওয়ালফ্লাউয়ার' নামের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এমা নিজেকে হ্যারমিওনের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি করেন। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এমা নিজেকে অন্য চরিত্রে স্থানান্তরের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এ চলচ্চিত্রে অন্তর্মুখী একজন তরুণের চিঠির মাধ্যমে যৌবন ও জীবনের মূল্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিশোরদের মনের বিভ্রান্তি তুলে ধরা হয়।
অনেকে মনে করেন, এমা অনেক ভাগ্যবান। তবে তিনি আশা করেন, লোকজন যেন তার পরিশ্রম দেখতে পারেন।
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন এমা ওয়াটসন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাভের পরও তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রিটিশ সাহিত্য বিষয়ে লেখাপড়া করেন।
তিনি বলেন, 'স্কুল জীবনের মাধ্যমে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে পারি এবং সবচেয়ে বাস্তব জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। এতে আমি নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে করি'।
'জিকিউ ম্যান' পত্রিকা ২০১৩ সালে এমাকে বার্ষিক যৌন আবেদনময়ী নারী হিসেবে নির্ধারণ করে। তবে এমা এতে রাজি হন না। তিনি নিজের শরীরে মিডিয়ার লাগানো ছাপ পছন্দ করেন না। তিনি নিজেকে নারীবাদী বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, যখন তার ৮ বছর বয়স তখন তিনি তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য একটি নাটকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করতে চান। তবে তখন তার এই আশা পূরণ হয় না। তখন তিনি আবিষ্কার করেন, যদি তিনি একজন ছেলে হতেন, তাহলে এমন ধরনের অবস্থা দেখা যেতো না।