বন্ধুরা, এবার শুনুন 'তুষারমানব' নামের গানটি। গেয়েছেন ফান সিয়াও শুয়েন। গানে তিনি গেয়েছেন, 'খুব ঠান্ডা। তুষার এতটা গভীরভাবে জমেছে। শুভ বড়ো দিন। আমার প্রিয় মানুষ, তুমি কী তুষারমানব। আমি অপেক্ষা করছি। তুষার পড়তে থাক। একটু, একটু করে ঝরা তুলোর মত। আকাশ একদম পরিস্কার। বসন্তকাল আসবে। আমি আর বেঁচে থাকতে পারবো না।'
বন্ধুরা, আমি পেইচিংয়ে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ শহরেই বড় হয়েছি। আমি পেইচিংয়ের চারটি ঋতু খুবই ভালোবাসি। শীতকালে পেইচিংয়ে ঠান্ডা পড়লেও রুমে হিটিং ব্যবস্থা আছে বলে থাকতে কষ্ট হয় না।
বন্ধুরা, শুনুন 'পেইচিংয়ের শীতকাল' নামের গানটি। দেখুন পেইচিংয়ের শীতকাল কেমন হয়। গেয়েছেন ইয়ু তোং।
তিনি গেয়েছেন, 'পেইচিংয়ের শীতকাল খুব শুষ্ক। শুষ্কতার কারণে ঠোঁটে ফাঁটল ধরে। উত্তরে বাতাস আসলে যাযাবর পাখি দক্ষিণাঞ্চলে উড়ে যায়। শীতল সকালের রাস্তায় নিরব সূর্যালোক দেখা দেয়। পেইচিংয়ে শীতকালে তুষার পড়ে। সূদূরের শহরে আমার মতো লোক আছে কি? জানালার সামনে দাঁড়িয়ে এ বিশ্বকে নিয়ে চিন্তা করছি।"
সুপ্রিয় শ্রোতা, আমি চীনা মানুষ হলেও চীনের অনেক জায়গায় এখনো যাইনি। দক্ষিণ চীনের শীতকাল কেমন তা আমি শুধু শুনেছি। কখনো নিজে অনুভব করিনি। শুনেছি, সেখানে শীতকালে ঘরে-বাইরে একই রকম ঠান্তা। রুমে থাকলেও অনেক কাপড় পড়তে হয়। কারণ হিটিং ব্যবস্থা নেই। তা ভেবে অবশ্য আমার একটু ভয় লাগে।
বন্ধুরা, এবার শুনুন 'দক্ষিণাঞ্চলের শীতকাল' নামের গানটি। মিষ্টি এ গানটি গেয়েছেন খান খান।
তিনি গেয়েছেন, 'এ বছর শীতে দক্ষিণাঞ্চলে খুব শীত পড়েনি। তোমার চিঠি পড়ে আবার আমি অতীতে ফিরে গেছি। এখন শীতকালের সূর্যালোক গরম। আমি গিটার হাতে নিয়ে পুরোনো দিনের গান গাই। এটা আমার পছন্দের জীবন। শীতকালে দক্ষিণাঞ্চলে গাছের পাতা পড়ে না। এ শীতকাল বসন্তকালের মতো। দক্ষিণাঞ্চলে শীতকালে তুষার পড়ে না। আমি তোমার জন্য একটি গান গেয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানাই।'
শ্রোতাবন্ধুরা, এতোক্ষণ আপনাদের শীতকাল ও তুষারপাত সম্পর্কিত কয়েকটি চীনা গান শুনিয়েছি। কেমন লেগেছে? জানালে খুশি হবো।
এ পর্বের সুরের ধারায় আসর এ পর্যন্তই। আমি পেইচিং থেকে বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন সবাই। আবার কথা হবে। (ইয়ু/মান্না)
| ||||