১. গত ১২ বছর ধরেই চীনে গ্রীষ্মকালীন শস্য উত্পাদন বাড়ছে। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো গত বুধবার জানিয়েছে, এ বছর গ্রীষ্মকালীন শস্যের ফলন রেকর্ড ১৪১.০৭ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়, যা গত বছরের চেয়ে ৩.৩ শতাংশ বেশি।
ব্যুরো জানায়, চলতি বছর চীনের মোট ২৭.৬৯ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শস্য ফলানো হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ০.৪ শতাংশ বেশি।
এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেব অনুসারে, বিগত এক দশকে চীনে হেক্টরপ্রতি শস্য উত্পাদন বেড়েছে ১.০৪ টন করে।
২. ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টির পোল্ট্রি খামারগুলো থেকে মাংস ও অন্যান্য পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীনের হংকং। অঞ্চলটির খাদ্য ও পরিবেশ স্বাস্থ্য বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা কেন্দ্র (সিএফএস) গত মঙ্গলবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানায়। ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টিতে এইচ৭এন৭ বার্ডফ্লু ছড়িয়ে পড়ার পর হংকং এ সিদ্ধান্ত নিল।
সিএফএসের একজন মুখপাত্র জানান, গত বছর ব্রিটেন থেকে হংকং ১৮ হাজার টন হিমায়িত পোল্ট্রি মাংস এবং ৭.২ মিলিয়ন পোল্ট্রি ডিম আমদানি করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, ব্রিটিশ কাউন্টিতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩. গেল জুনে চীনের রিয়েল এস্টেট বাজার ছিল চাঙ্গা। এ মাসে দেশটির বিভিন্ন শহরে ফ্লাটবাড়ির দাম আগের মাসের তুলনায় বেড়ে যায়।
৭০টি বড় ও মাঝারি শহরে পরিচালিত জরিপ অনুসারে, জুনে ২৭টিতে নতুন ফ্লাটবাড়ির দাম বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে মে মাসে বৃদ্ধি পেয়েছিল ২০টি শহরে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো শনিবার এ তথ্য জানায়।
৪. চলতি বছর চীনের সাংহাই, কুয়াংতুং, থিয়েনচিন ও ফুচিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকায় বিদেশি বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের নেওয়া বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারণে। সম্প্রতি চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং সৌ উন সাংবাদিকের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত এ চারটি অবাধ বাণিজ্য এলাকায় ৭৫৪টি বিদেশি শিল্প-প্রতিষ্ঠান নথিভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এসব অঞ্চলে প্রায় ৪২১০ কোটি ইউয়ান বিনিয়োগ করবে।
এদিকে, গত শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীনে ৬৮৪১ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।
৫. চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে চীনের সিনচিয়াংয়ের সাথে রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। এসময় চীনের এই বিশেষ অঞ্চলের সাথে রুশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। উরুমুচি শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে সম্প্রতি এ তথ্য জানা গেছে।
শুল্ক বিভাগ আরও জানায়, চলতি বছরে প্রথম ছয় মাসে 'এক অঞ্চল, এক পথ'-সংশ্লিষ্ট দেশ পাকিস্তান, ইরান ও আফগানিস্তানের সাথে সিনচিয়াংয়ের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ৭৪.৪ শতাংশ ও ৪৩.৮ শতাংশ।
এদিকে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে বিভিন্ন দেশের সাথে সিনচিয়াংয়ের সার্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ২৮.৯ শতাংশ। বিগত ৬ মাসে অঞ্চলটির মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৩১৯ কোটি ইউয়ান।
৬. বাংলাদেশও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একসংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ১২ থেকে ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিংয়ের ওপর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চলমান বৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশফাইন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেনস ইউনিট ও অস্ট্রেলিয়ান ট্রানজেকশন রিপোর্টস অ্যান্ড এনালাইসেস সেন্টারের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় সহজতর হবে
৭. রপ্তানিমুখী জাহাজশিল্পের জন্য নগদ সহায়তা বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিল গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঢাকায় সচিবালয়ে গত বৃহস্পতিবার 'অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ'-এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এই আশ্বাস দেন।
বৈঠকে রপ্তানিমুখী জাহাজশিল্পের জন্য সমিতির নেতারা অর্থমন্ত্রীর কাছে মূলত তিনটি দাবি জানান। এগুলো হচ্ছে: নগদ সহায়তার হার বিদ্যমান ৫শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে নির্ধারণ, দুই হাজার কোটি টাকার দীর্ঘমেয়াদিতহবিল গঠন এবং ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা।
প্রথম দুটি দাবি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়ে তৃতীয়টির ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, সুদের হার ঠিক করে বাজার। এ ব্যাপারে তেমন কিছু করার নাই।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সাতটি দেশে জাহাজ রপ্তানি করাহচ্ছে বলে জানান সমিতির নেতারা। দেশগুলো হচ্ছে: জার্মানি, ডেনমার্ক, তাঞ্জানিয়া, পাকিস্তান, ফিনল্যান্ড, ইকুয়েডর ও জাম্বিয়া। নিউজিল্যান্ড, পূর্ব আফ্রিকা এমনকি যে ভারত নিজেই রপ্তানি করে, তাদের কাছ থেকেও সম্প্রতিরপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে বলে অর্থমন্ত্রীকে জানান তাঁরা।
৮.গেল অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশ সরকার কোনো ঋণ নেয়নি। বরং উল্টো আগের নেওয়াঋণ পরিশোধ করেছে। ফলে গত অর্থবছরে ৬৮৭০ কোটি টাকা কমে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭হাজার ৩৭৪ কোটি টাকায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছিল ৬৪২৮ কোটি টাকা।
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি হওয়ায় গেল অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ফলে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে আর বাড়তি টাকা ধার করতে হয়নি সরকারকে। ব্যাংকেরচেয়ে সুদহার বেশি থাকায় জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ চলতি অর্থবছরের শুরুথেকেই বাড়ছিল। বিক্রি কমাতে গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে এসে সঞ্চয়পত্রের সুদহার গড়ে ২ শতাংশ কমিয়ে ১১ শতাংশের আশপাশে নির্ধারণ করা হয়। এরপরও গত মেপর্যন্ত ১১ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ২৬ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ঋণনিয়েছে সরকার। অর্থবছরের শুরুতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে মাত্র ৯ হাজার ৫৬কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে২১ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রাও ইতিমধ্যে ছাড়িয়েগেছে।
৯.বিদেশ যাওয়ার সময় বৈদেশিক মুদ্রা কেনার প্রক্রিয়াকে সহজতর করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত যে-কোনো মানি এক্সচেঞ্জ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বহনের অনুমোদন নিতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের প্রথম দুই পাতার ফটোকপি জমা দিলেই হবে।আগে পাসপোর্টের প্রথম ছয় পাতা জমা দিতে হত।
বাংলাদেশব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমেনতুন নিয়ম চালু করেছে। এদিনই দেশের সবগুলো অনুমোদিত ডিলার ও মানিএক্সচেঞ্জের কাছে প্রজ্ঞাপনটি পাঠানো হয়েছে।তবে পাসপোর্টের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র আগের নিয়মেই জমা দিতে হবে।
১০.জুনে ভারতের রফতানি ১৫.৮২ শতাংশ কমে ২,২২৮ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। এ নিয়ে টানা সাত মাস ধরে কমল সফতানি। তবে পাশাপাশি আমদানিও কমেছে ১৩.৪ শতাংশ। ফলে বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে।
১১.এদিকে, এ সঙ্কট থেকে বাঁচতে বেশ কিছু দিন ধরেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চেয়ে আসছেন রফতানিকারকরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এ বার কেন্দ্রীয়বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানালেন, শীঘ্রই রফতানিকারকদের জন্য উত্সাহ প্রকল্প ঘোষণা করা হবে।
সম্প্রতি দিল্লিতে 'ইনফোকম ২০১৫'-র মঞ্চে দাঁড়িয়ে নির্মলা জানান, ভর্তুকি দেওয়া হবে রফতানিকারকদের নেওয়া ঋণের সুদের হারে। এতে যে সব ক্ষেত্রে রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো চাঙ্গা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ওই সুদে ৩% ভর্তুকি দিত কেন্দ্র। কিন্তু গত ৩১ মার্চ সেইসুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বার রফতানিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে ফের নতুন করেভর্তুকি চালুর পথ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, ভারতীয় পণ্যের জন্য নতুন বাজার তৈরি ও রফতানি বাড়ানো নিয়ে শিল্প মহলের সঙ্গে কথাও চালাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
১২.পাকিস্তানে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ১০.৬৮ শতাংশবেড়ে দাঁড়ায় ২২০৯ কোটি ডলারে। আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১৯৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো সম্প্রতি এ তথ্য জানায়।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাকিস্তান সরকার আমদানি করেছে ৪৫৯৮ কোটি মার্কিন ডলার এবং রফতানি করেছে ২৩৮৮ কোটি ডলারের পণ্য। এর মধ্যে চীন থেকে আমদানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ।
১৩. পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৮৫৯ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।
(আলিম)
| ||||