0114
|
'সুন্দর চীন' হচ্ছে চীনা জাতীয় পর্যটন ব্যুরোর সৃষ্টি একটি কেন্দ্রীয় পর্যটন ব্র্যান্ড। ব্যুরো প্রতি বছর একটি থিম বাছাই করে। ২০১৫ সালের থিম হচ্ছে 'রেশম পথ পর্যটন'। রেশম পথ অর্থনৈতিক জোন ও একুশ শতকের রেশম পথ চীনের প্রস্তাবনা।
চীনা জাতীয় পর্যটন ব্যুরোর উপ-প্রধান তু চিয়াং বলেন, 'রেশম পথ পর্যটন বছর' আয়োজনের মাধ্যমে একদিকে চীনে রেশমপথ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পর্যটনকে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে এবং অন্যদিকে রেশম পথ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে পর্যটনক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা যেতে পারে। চীন এর মাধ্যমে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে পর্যটন সহযোগিতা ও যোগাযোগ বাড়াতে চায় এবং একটি রেশম পথ পর্যটন কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
রোম থেকে সি আন পর্যন্ত, রেশম পথের উভয় প্রান্তের পর্যটন শিল্প উন্নত। তবে মধ্য এলাকার পরিস্থিতি ভিন্ন। ভূমধ্যসাগরের দেশগুলো এবং চীন ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পর্যটনশিল্প উন্নত, কিন্তু মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর পর্যটন সম্পদ প্রচুর হলেও পরিবহন অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন যথেষ্ট নয়। পর্যটন কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে একটি পারস্পরিক কল্যাণ ও সুবিধা ব্যবস্থা।
বর্তমানে চীন ও মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সহযোগিতার আকার বড় নয়। পর্যটন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে সীমান্ত দিয়ে যাওয়া-আসা সহজতর হবে। উজবেকিস্তানের সাথে স্মারকলিপি স্বাক্ষরের পর চীন দ্রুত অন্য মধ্য এশীয় দেশগুলোর সাথেও চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
২০১৪ সালে কান সু প্রদেশের চাং ইয়ে শহরে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ 'তুন হুয়াং-রেশম পথ আন্তর্জাতিক পর্যটন উত্সব'। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৯টি রেশম পথ সংশ্লিষ্ট দেশ একটি যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করে এবং রেশম পথ পর্যটন উন্নয়ন এবং পর্যটন কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়।
চীনা বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যুরোর প্রধান লি চিয়া সিয়াং জোর দিয়ে বলেন, চীনা বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যুরোর উদ্যোগে চীনা বিমান কোম্পানি মধ্য ও পশ্চিম অঞ্চলের বাজার উন্নয়ন করবে। বিশেষ করে 'রেশম পথ অর্থনৈতিক জোন' কৌশল বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সি আন, উরুমুছি, ইন ছুয়ান ও কুন মিংসহ বিভিন্ন শহরে চলাচলের অধিকার উন্মুক্ত করবে এবং প্রতিবেশী দেশ ও অঞ্চলের চলাচলের অধিকার উন্মুক্ত করার নীতি নিয়ে গবেষণা করবে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাই নান এয়ারলাইন্স চালু করে হাং চৌ থেকে সি আন শহর হয়ে প্যারী যাওয়ার রুট। চীন ও ইউরোপের মধ্য একটি আকাশ রেশম পথ নির্মাণ করতে চায় হাই নান এয়ারলাইন্স। এর পাশাপাশি চীনা সাউদার্ন এয়ারলাইন্স লান চৌ-উরুমুছি-দুবাই রুট চালু করে।
রেশম পথের একটি মুক্তা হিসেবে আজারবাইজান তার বিমান পর্যটন বাজার উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ২০১৩ সালে চালু হওয়া আজারবাইজান-পেইচিং রুট তার প্রথম দীর্ঘ রুট।
পর্যটন মহল মনে করে, রেশম পথ পর্যটন একটি জাতীয় ব্র্যান্ড এবং রেশম পথের সব অঞ্চল ও দেশগুলোর উচিত একসাথে উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা। দেশ ও দেশের মধ্যে, শহর ও শহরের মধ্যে এ আলোচনা হতে পারে।