উল্লেখ্য, এ প্রামান্যচিত্রের পরিচালক হচ্ছেন নানচিং ডেইলি, নানচিং পৌর লেখক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শেন ফু ইউ। সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তিনি চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি খুব পছন্দ করেন। ফ্রান্সে চাকরি করার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি আবিষ্কার করেন যে, ফরাসীরা চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রতি অনেক আগ্রহী, তা সত্ত্বেও, চীনের প্রতি তাঁদের জানাশোনা খুব সীমিত। তাই তিনি প্রামান্যচিত্রে আরো সরাসরি এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির পরিচয় করিয়ে দিতে পছন্দ করেন। ড্রাগনকে শুটিং করার প্রধান বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
'এই প্রামান্যচিত্রে দুটি ড্রাগনের কাহিনী বর্ণনা করা হয়। একটি হলো চীনের ড্রাগন এবং আরেকটি হলো ফ্রান্সের ড্রাগন। চীনের এই ড্রাগন হলো ১৭০০ বছরের আগে বাঁচিয়ে রাখা এক ধরনের ড্রাগন লণ্ঠন। তাকে বাঁশ দিয়ে তৈরী করে এর বাইরে কাগজ লাগানোর মাধ্যমে তা সৃষ্টি হয়। রাতে এমন ধরনের ড্রাগন লণ্ঠনের ভেতরে মোমবাতি রাখা হয়। বসন্ত উত্সবে হাজার হাজার লোক ড্রাগন নৃত্য করেন। দেখতে অনেক জাঁকজমকপূর্ণ। তবে এখন শহরায়নের সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এই ড্রাগন নৃত্য ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে। এবার এই প্রামান্যচিত্রে আমরা এমন ধরনের মানুষ খুঁজে পেতে চাই যে, তারা ড্রাগন লণ্ঠন তৈরী করতে পারেন। ড্রাগন হচ্ছে চীনাদের মানসিক মূর্তি বিশেষ, এটিও চীনের একটি প্রতীক। আমি মনে করি, চীনের ড্রাগনের প্রতি ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর জানাশুনা অনেক কম। তাই আমি এই প্রামান্যচিত্রের মাধ্যমে ফরাসীদের কাছে চীনের ড্রাগন ও চীনের সংস্কৃতি আরো বেশি পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।