বন্ধুরা, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ৭ সেপ্টেম্বর আর্জেনটিনার রাজধানী বুয়েন আয়ার্সে–এ অনুষ্ঠিত এক সভায় ঘোষণা করেছে যে, ২০২০ সালের ৩২তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস্-এর স্বাগতিক দেশ হবে জাপান। উল্লেখ্য, জাপানের টোকিও ১৯৬৪ সালে ১৮তম গ্রাষ্মকালীণ অলিম্পিক গেমস্-এর স্বাগতিক দেশ হয়েছিল। এ নিয়ে টোকিও দু'বার অলিম্পিক গেমস্ আয়োজনের সুযোগ পেল। এ থেকে বুঝা যায় যে, টোকিও'র অবকাঠামো এবং সামগ্রিক পরিবেশ অলিম্পিক আয়োজনের জন্য অত্যন্ত উপযোগি একটি শহর।
২০২০ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজক শহর হিসেবে টোকিও'র এ সাফল্য অর্জনের জাপানের জনমত বলছে যে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা টোকিও'র উন্নত শহরায়ন ও অগাধ ধনসম্পত্তিকেই মূল্যায়ন করেছেন। অলিম্পিক গেমস আয়োজনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত লাভের প্রক্কালে টোকিও'র ফুকুশিমা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রথম পরমাণু বিদ্যুত্ স্টেশনের পরমাণু দূষিত পানি ছড়িয়ে পড়া সমস্যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে চিন্তিত করেছিল। তবে শেষপর্যন্ত টোকিও'র সাফল্যের কারণে বিদ্যমান এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, কেবল জাপানের ক্রীড়া মহল নয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলের কর্মকর্তারাও এবারের টোকিও'র সাফল্য অর্জনের পেছনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
এ সম্পর্কে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিসিদা ফুমিও তাঁর ভাষণে বলেন, শান্তি আর মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ এক মহাসম্মিলনী সৃষ্টির লক্ষ্যেই জাপান সরকার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। জাপানের বিভিন্ন বিরোধী দলও ২০২০ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের সাফল্যকে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁরা সকলেই একমত হয়েছেন যে, অলিম্পিক গেমস্এর মতো এই মহা আয়োজনের স্বাগতিক দেশ হবার গৌরব ধরে রাখতে এবং এর আয়োজনের সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যহত রাখবেন। প্রধান বিরোধী দল—গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা জানান , বিশ্বের জনগণের কাছে স্বপ্ন ও আশার মহামুগ্ধকর এক সম্মিলনী সৃষ্টির জন্য গণতান্ত্রিক পার্টি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে।