প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরই মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর আয় এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা বিশ্বের মোট জিডিপির ১.৪ শতাংশ। এতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি আসে এশিয়ায়। ২০১৭ সাল নাগাদ এ অঞ্চলে বছরে আয় বাড়বে ৪.০ শতাংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংস্থা আরো জানায়, ২০১৮ সাল নাগাদ মানুষের কথা বলা থেকে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো যে আয় করবে, তার চেয়ে বেশি আয় করবে ডাটা সরবরাহের মাধ্যমে। মোবাইল ফোন কীভাবে মানুষের বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের মানুষের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনছে প্রতিবেদনে তার নানা দিক তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবহণে ও গুদামে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যদি ট্রাক যাতায়াতের এবং তাপমাত্রার খবর রাখা যায়, তবে বেশিরভাগ খাদ্যকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। একটা খতিয়ান তুলে ধরে এতে বলা হয়, যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে, তা দিয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ চার কোটি মানুষের অন্নসংস্থান হবে।
জিএসএমএ পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০১৪ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেসহ অনেক দেশে ডাটা থেকে আয় কথোপকথনের আয়কে অতিক্রম করে যাবে। শুধু তাই নয়, ২০১৭ সাল নাগাদ ১৮ লক্ষ শিশু শিক্ষার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেটে ই-রিডার্স এবং ট্যাবলেটের ওপর নির্ভর করবে। (সূত্র: এএফপি/বিবিসি)
| ||||