Web bengali.cri.cn   
ফিসক্যাল ক্লিফ এড়াতে চুক্তি, শেষ রক্ষা হবে তো!
  2013-01-14 15:19:12  cri
চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত ফিসক্যাল ক্লিফ এড়ানোর চুক্তি। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রস্তাবটি শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাট-সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে অনুমোদনের এক দিন পর রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদেও অনুমোদন পায়। ফলে নতুন বছরের সম্ভাব্য মন্দা থেকে আপাতত রক্ষা পেল যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। অবশ্য সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র আপাতত ফিসক্যাল ক্লিফ এড়াতে সক্ষম হলেও দেশটি নরকের দিকেই যাচ্ছে, যেখান থেকে বের হবার উপায় নেই।

সিনেটে ফিসক্যাল ক্লিফ এড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাবটি ৮৯-৮ ভোটে অনুমোদিত হয়। এরপর প্রতিনিধি পরিষদে সেটি ২৫৭-১৬৭ ভোটে পাস হয়। রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে এ জয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সাংবাদিকদের বলেন, "আমি এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যার ফলে ধনীদের ওপর কর বাড়বে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মাত্র ২ শতাংশ।"

বিলটি অনুমোদনের ফলে বার্ষিক আয় সাড়ে চার লাখ ডলারের ওপরে - এমন ধনীদের ওপর কর বেড়ে দাঁড়াবে ৩৯.৬ শতাংশে। বাকিরা অতিরিক্ত কর থেকে মুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি বাজেট থেকে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের যে ব্যয়সংকোচন হওয়ার কথা, তাও দুই মাস পিছিয়ে গেল।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বিশেষ আইনের মাধ্যমে কর হ্রাস করেছিলেন। সদ্যবিদায়ী বছরের শেষদিন সে আইনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ায় নতুন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর কর হার কয়েক গুণ বৃদ্ধি এবং কঠোর ব্যয় সংকোচনে পড়তে হতো, যাকে ফিসক্যাল ক্লিফ নামে অভিহিত করা হয়।

এদিকে ফিসক্যাল ক্লিফ এড়াতে সক্ষম হওয়ায় মার্কিন নীতিনির্ধারকরা যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ছেন, তখন সিনহুয়া বার্তা সংস্থা এক বিশ্লেষণে বলেছে, প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে নাগরিকদের ওপর কর বাড়ছে না, একই সঙ্গে হচ্ছে না ব্যয় সংকোচনও। কিন্তু এখানেই সমাধান নয়, দেশটির আইনপ্রণেতাদের সামনে এর চেয়ে বড় ঝুঁকি অপেক্ষা করছে। সিনহুয়ার যুক্তি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র গ্রিস নয় সত্যি, কিন্তু দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এবং স্বাভাবিক বিচার-বুদ্ধি মিথ্যে বলছে না।

সিনহুয়ার মতে, জনগণ কিংবা সরকার কিছু দিনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করে বেঁচে থাকতে পারে; কিন্তু সব সময়ের জন্য ঋণের ওপর থাকা যায় না। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডেরও একটি বড় ক্রেতা দেশ।

সিনহুয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ প্রায় ১৬ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন, যা দেশটির মোট দেশজ উত্পাদন (জিডিপি)-এর ১০০ শতাংশেরও বেশি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি 'ফিসক্যাল নরক'। (সূত্র: এএফপি, বিবিসি)(এসআর)

মন্তব্য
লিঙ্ক