
তিব্বতে পর্বত-দেবতা পূজার মত হ্রদ দেবতা ও জল দেবতার পূজাও প্রাচীন কাল থেকেই শুরু হয় ।
আদিম তিব্বতীরা বিশ্বাস করত, ড্রাগনের জগত্ হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের নীচে। ড্রাগন থাকে ভুগর্ভ ও জলাশয়ে । ড্রাগনকে বলা হতো ড্রাগন দেবতা বা জল দেবতা ।
পর্বত-দেবতার মত ড্রাগন দেবতার চেহারাও পরিবর্তিত হয়েছে একাধিক বার ।প্রথমে তার ছিল প্রকৃতির রূপ । পরে তার চেহারা মানুষ ও পশুর সমস্বয়ে গড়ে ওঠে । অবশেষে মানুষের রূপ ধারণ করে ।

প্রাচীনকালে ড্রাগন দেবতার ছবি আঁকা হত তিব্বতী কৃষকদের বাড়ির দেওয়াল বা রান্না ঘরের পানি -ভরা বড় মৃতপাত্রের উপর ।তবে আদিম ড্রাগন দেখতে কাঁকড়ার মত ছিল । পরবর্তীকালে ড্রাগনের চরিত্র পাঁচভাগে বিভক্ত হয় । তারা যথাক্রমে পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলে, দক্ষিণাঞ্চলে, পশ্চিমাঞ্চলে ,উত্তরাঞ্চলে ও মধ্যাঞ্চলে থাকে ।তাদের মধ্যে কেউ কেউ মানবজাতির জন্য সুখশান্তি বয়ে নিয়ে আসে ,কেউ কেউ আবার পশুপালক, গবাদি পশু ও ফসলের জন্য বয়ে নিয়ে আসে বিপর্যয় । তাদের ছিল বাতাস বওয়ানো , বৃষ্টি ও তুষার নামানো , বজ্র নিক্ষেপ এবং যুদ্ধ ঘটানোর ক্ষমতা ।

কালক্রমে ড্রাগন যে ধর্মের দেবতায় রূপান্তরিত হয় তার চেহারায় ছিল ধর্মের ছাপ ।ধর্মীয় নীতিভিত্তিক ও মানুষের কল্পনায় সৃষ্ট ড্রাগন দেবতা ক্রমে ক্রমে মানুষের রূপে দেখা দেয় । পশুর মাথাওয়াল ড্রাগন দেবতার দেহ মানুষের ,কিন্তু লেজ মাছ বা সাপের মত ।
1 2 |