গত কয়েক বছর হরগোস সীমান্ত বন্দরের শিল্প ও বাণিজ্যও দ্রুত বিকশিত হয়েছে । এ অঞ্চলে সীমান্ত বাণিজ্য ও শিল্প এলাকাও গড়ে তোলা হয়েছে । এর পাশাপাশি তৃতীয় শিল্পও বিশেষভাবে প্রসারিত হয়েছে । বর্তমানে এ অঞ্চলের সীমান্ত বাজার ও বাণিজ্য এলাকার আয়তন প্রায় ৫ বর্গ কিলোমিটারে হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
সিনচিয়াংয়ের সীমান্তে প্রবেশ করে এক দিন কেনা-কাটার জন্য কাজাখস্তানের নাগরিকরা ভিসামুক্ত অগ্রাধিকার ভোগ করছেন । যার ফলে দু'দেশের সীমান্ত বাণিজ্যিক পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে । এ ছাড়াও হরগোস শিল্প এলাকায় ২৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে । এ সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫২ কোটি ইউয়ান অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে । এখানে কর্মীদের সংখ্যা ১ হাজার ৮শ'রও বেশি । ২০০৮ সালে এ সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে শিল্পের উত্পাদন মূল্য ২০০৭ সালের ৭০ শতাংশের চেয়ে বেড়ে ৪৩ কোটি ইউয়ানে এসে দাঁড়িয়েছে ।
হরগোস অঞ্চলে এখন বেশ কিছু পণ্য সরবরাহ এবং আধুনিক ব্যবসা ও বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে । শহরের রাস্তাঘাট পরিপাটি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন । বিভিন্ন বড় বিপনীতে রাশিয়া , ফ্রান্স ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যদ্রব্য পাওয়া যায় । তিনি ছোট বেলা থেকেই হরগোসে বসবাস করে আসছেন । এ অঞ্চলের পরিবর্তন প্রসংগে তিনি বলেন ,
পনের- ষোল বছর আগে হরগোস খুবই অনুন্নত ছিল । ওখান থেকে নগরের কোন লক্ষণ পাওয়া যেতো না ।
ভবিষ্যতে হরগোসে চীন-কাজাখস্তান সীমান্ত সহযোগিতা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে । কেন্দ্রটি নির্মাণের পর বাণিজ্যিক আলোচনা . পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন , পণ্য সরবরাহ ও পরিবহন এবং বিবিধ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সুবিধা হবে । ফলে উভয় পক্ষের লোকজনের বিনিময় এবং পণ্য আদান প্রদানের পরিমাণ আরো ত্বরান্বিত করা হবে । হরগোস সীমান্ত বন্দরের ব্যবস্থাপনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান লিউ চিয়ান লিন আরো বলেন , তখন হরগোস বন্দর সড়ক , রেলপথ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও হয়ে দাঁড়াবে ।
সহযোগিতা কেন্দ্র নির্মাণের পর দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করা হবে । শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার কাঠামোতে এটা অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে । হরগোস বন্দর অনবরতভাবে বিকশিত হচ্ছে । এ পুরানো সীমান্ত বন্দরের প্রাণবন্ত শক্তি অব্যাহতভাবে প্রসারিত হবে ।
(থান ইয়াও খাং) 1 2 |