এ ভ্রমণের সময় অন্যান্য ইসলামী ভবনগুলো , যা আমি দেখেছি , তার মধ্যে কাশি শহরের এটিগার মসজিদ , আপাক হোচা মাজার এবং হোথিয়ানের জুমা মসজিদও আমার অনুভূতিকে ছুঁয়ে গেছে । মধ্য-এশিয়া ও দক্ষিণ-এশিয়ার স্থাপত্যশৈলীর মতোই এটিগার মসজিদের প্রবেশ দ্বার একই রকম । তা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে । এটিগার মসজিদে প্রবেশের সময় আমরা একটি বিশাল প্রাঙ্গন দেখি । প্রাঙ্গনে রঙবেররঙের ফুল আর সবুজ ঘাস রয়েছে । মসজিদের একজন ইমাম আমাদেরকে জানিয়েছেন , সাধারণ দিনে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মুসলমান এখানে এসে নামাজ পড়েন । জুম্মার দিনে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মুসলমান আসেন । কিন্তু আরও বড় উত্সবে ৮০ হাজারেরও বেশি লোক এখানে এসে নামাজ পড়েন।
এটিগার মসজিদের ৬০০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে । এটিগার মসজিদ দেখে পাকিস্তানের লাহোর শহরের বাদশাহী মসজিদ এবং পেশোয়ার শহরের মোহাব্বত খান মসজিদের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় । লাহোরের বাদশাহী মসজিদের মতই এটিগার মসজিদের প্রবেশদ্বারের ধরন একই রকম যে , যদি এটিগার মসজিদ দেখেন তাহলে মনে হবে যেন বাদশাহী মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ।
এসব মসজিদ আমাকে অনাবিল আনন্দ দিয়েছে । ভ্রমণের সময় মনেই হয়নি আমি বিদেশে আছি । (মেন চিয়া লি)
1 2 3 4 |