
সাক্ষাত্কারে ইউয়ান ইয়ৌ চুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁর এ লিমিটেড কোম্পানির মত সংশ্লিষ্ট আমদানি ও রপ্তানিকারী বাণিজ্যিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপরও এবারের আর্থিক সংকটে নিশ্চয় কিছু কিছু প্রভাব পড়েছে। তবে ভবিষ্যতে চীন ও পাকিস্তানের বাণিজ্যিক উন্নয়নের ওপর তিনি তার দৃঢ় আস্থার কথা তুলে ধরেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" ২০০৫ সাল থেকে আমার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন নিকটবর্তী দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। অবশেষে, কাশি অঞ্চল নিশ্চিতভাবে একটি ব্যবসার আনুষঙ্গিক কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার বেশ অনেক প্রত্যয় রয়েছে"।
কা শি অঞ্চলের সুবিধার প্রতি বেশি আগ্রহী রয়েছেন এমন লোকদের মধ্যে শুধুমাত্র ইউয়ান ইয়ৌ চুনই একজন নয়। আমাদের সংবাদদাতা কা শি শহরে একজন চীনা মালিকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি পাকিস্তানী রেস্তোরাঁয় একজন পাকিস্তানী ব্যবসায়ীর সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। এ ব্যবসায়ী হচ্ছেন পাকিস্তান থেকে কা শি পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের কাজে থাকা একজন ব্যবসায়ী ড্রাইভার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:" আমার নাম হচ্ছে সাকির হুসেইন । আমি পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের একজন অধিবাসী। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে পাকিস্তান থেকে কা শি পর্যন্ত পণ্য পরিবহণের কাজ করা। ২০০৬ সালে আমার এ পরিবহনের কাজ শুরু হয়"।
আসলে প্রতি বছরে পাকিস্তানের অনেক ব্যবসায়ীকে নিয়ে গঠিত একটি বাণিজ্যিক দল হিসেবে কা শি অঞ্চলে আয়োজিত কা শি আলোচনা সভা ও উরুমচিতে আয়োজিত উরুমচির আলোচনা সভায় অংশ নেয়। সম্প্রতি সিন চিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ভাইস-চেয়ারম্যান হু ওয়েই সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, উরুমচির ১৮তম বাণিজ্যিক আলোচনা সভায় পাকিস্তানের অনেক ব্যবাসয়ীদের আকর্ষিত হয়েছে। এ সম্পর্কে হু ওয়েই বলেন:
" সাধারণত পাকিস্তানের ব্যবাসায়ীরা প্রত্যেক বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের উরুমচির বাণিজ্যিক আলোচনা সভায় অংশ নেন এবং প্রত্যেক ২৮ জুন মাসে তারা আরও মধ্য, পশ্চিম এবং দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় সম্মেলনে অংশ নেন। সুতরাং, পাকিস্তানের সঙ্গে বিনিময় উন্নয়নের ওপর আমাদের বেশ দৃষ্টি রয়েছে"।
চীন-পাকিস্তান দু'দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক অব্যাহতভাবে তার প্রাণবন্ত শক্তি তেজীয়ান হয়ে উঠছে। ---ওয়াং হাইমান 1 2 |