ভাস্কর্য শিল্পই প্রদর্শনী কেন্দ্রের প্রধান অংশ। বিজয়ের সূচনা-বিন্দু ছাড়া চীনের কেন্দ্রীয় চিত্রকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপকদের কয়েকটি শিল্প-কর্মও খুবই অর্থবহ। এগুলো পৃথক পৃথকভাবে হচ্ছে ছাও ছুন শেং-এর 'সিয়াও চিন', ল্যুই পিন ছাং-এর 'ছা থিয়ান ফেন থিয়ান' ও ওয়াং শাও জুনের 'মা ই ফু'। ছি সি লিং লড়াইয়ে লাল ফৌজের চতুর্থ আর্মির ২৮তম রেজিমেন্টের তৃতীয় ব্যাটালিয়নের প্রধান সিয়াও চিন তলপেটে গুলি বিদ্ধ হন। গুলিতে নাড়িভূঁড়ি বাইরে বেরিয়ে গেলেও তিনি তা ভেতরে চেপে ধরে রেখে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রদর্শনী কেন্দ্রে ভাস্কর্য ছাড়াও অন্য কয়েক ধরনের শিল্প-কর্ম আছে। এ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিত্রকলা, তৈলচিত্র, ছাপচিত্র, মজার বই, ব্যংগ চিত্র ও বার্নিশ চিত্র। দর্শকরা বিপ্লবের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বহু ধরনের ও গভীর নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিল্প উপভোগ করতে পারেন।
তাছাড়া কিশোর দর্শকদের চাহিদা পূরণের জন্য জাদুঘরের প্রদর্শনী কেন্দ্রে তাত্ক্ষনিক কার্টুন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। এর লক্ষ্য চীনা লালফৌজের ইতিহাসের প্রতি কিশোর দর্শকদেরকে আগ্রহী করে তোলা। এখন আপনারা যে গানটি শুনছেন সেটি সে বছরে লাল ফৌজের তৈরী 'শৃঙ্খলার তিনটি মূলনীতি এবং লাল ফৌজের একাগতার আট বিবেচনা' বিষয়ক কার্টুনের পটভূমি গান। এ ধরনের কার্টুনের ব্যবহার সাধারণত চীনের অন্য জাদুঘরগুলোতে দেখা যায় না। কার্টুন দেখে বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত লাল ফৌজের 'তিনটি মূল শৃঙ্খলা নীতি এবং আটটি বিবেচনা'র নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু উপলব্ধি করতে পারে। কার্টুন প্রদর্শনের লক্ষ্য সম্পর্কে চিংকাংশান বিপ্লব জাদুঘর নির্মাণ কাজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও ইয়াং সু চিন বলেন,
এটা সারা চীনে প্রথম। যখন আমরা প্রথম বারের মতো এটা ব্যবহার করেছি তখনও আমাদের উদ্বেগ ছিল। দর্শকরা এটা গ্রহণ করবে কিনা? বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে যে, কিশোরদেরকে তাদের প্রিয় মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া অনেক কার্যকর।
আমাদের সংবাদদাতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, ভাটা পর্যটন মৌসুমে প্রতি দিন কয়েক হাজার পর্যটক জাদুঘর দেখতে আসেন। জাদুঘরটি চালু হওয়ার প্রথম দু দিনে প্রায় ২০ হাজার পর্যটক এখানে এসেছিলেন। তারা সৃজনশীল জাদুঘরের প্রতি গভীর আগ্রহী। হু নান প্রদেশের রাজধানী ছাংশা শহরের হে হাই লিয়াং সংবাদদাতাকে বলেছেন, এখানে পরিদর্শন করে তার নৈতিক মূল্যরোধ আরো উন্নত ও মার্জিত হয়েছে। তিনি কষ্টসাধ্য কাজ ও জীবন-যাপনের পদ্ধতি অনুভব করতে পেরেছেন। তিনি বলেন,
আমার মনে হয় এই ধরনের শিক্ষার মধ্য দিয়ে আমার যেমন নৈতিকতা মার্জিত ও উন্নত হয়েছে, তেমনি আমাদের দলীয় সহযোগিতা ও অগ্রগতির জন্যও কাজ লাগবে। 1 2 3 |