চলচ্চিত্র যাদুঘরসহ পেশাগত যাদুঘরের নিজেদের প্রদর্শনীর পদ্ধতি রয়েছে। যেমন দর্শকরা চলচ্চিত্র তৈরীর প্রতিটি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে। বহু চলচ্চিত্র প্রেমী এ যাদুঘর প্রদর্শন করতে আগ্রহী। একজন দর্শক এ সম্পর্কে বলেছেন, 'এ যাদুঘরের বিষয় সমৃদ্ধ ও পেশাগত। আমাদের অনেক মজা ও ভাল লাগে। আমি আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে এসে এ যাদুঘর পরিদর্শন করি।'

শিশু দর্শকরা চলচ্চিত্র যাদুঘরে পরিদর্শন করতে আগ্রহী। বহু শিশু কার্টুন ছবি প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে বেশ সময় লাগে। তারা এখানে কার্টুন ছবি তৈরীর প্রক্রিয়া জেনেছে।

চীনের চলচ্চিত্র যাদুঘরেও একটি আধুনিক সিনেমা হল রয়েছে। দর্শকরা টিকিট কিনে এ সিনেমা হলে এখন বিশ্বের প্রচলিতে ও আগের শাস্ত্রীয় চলচ্চিত্র দেখতে পারেন। দশর্করা মাত্র ২ ইউয়ান রেনমিনপি দিয়ে আগের শাস্ত্রীয় চলচ্চিত্র দেখতে পারেন। রাজধানী যাদুঘর ও চীনের চলচ্চিত্র যাদুঘরসহ পেইচিংয়ের বাধ্যতামূলক টিকিটের বিনিময়ে প্রদর্শিত যাদুঘর হল চীনা সংস্কৃতি প্রদর্শনের জানালা। নাগরিকরা এ ব্যবস্থাকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি কোনো কোনো নাগরিক নিজের প্রস্তাব করেছে। যেমন, কোনো কোনো দর্শক মনে করে, যাদুঘরগুলোর কর্মচারীদের উচিত প্রদর্শিত বিষয়ের ওপর পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা। কারণ যাদুঘরের কর্মচারীরা এখন ভালভাবে দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না।

যাদুঘর বাধ্যতামূলক টিকিটের বিনিময়ে খোলার ব্যবস্থা গ্রহণের পর নতুন চ্যালেন্ঞ্জের সম্মূখীন হচ্ছে। যাদুঘরের পরিচালনা ও প্রদর্শনীর মান নিশ্চিত করার জন্য যাদুঘরে প্রতিদিন দর্শকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর ফলে ছুটির দিনে যাদুঘরের টিকিট পাওয়া অনেক কঠিন। এছাড়াও ওয়েবসাইট ও টেলিফোনের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের পদ্ধতি পেইচিংয়ের বাইরের দর্শকদের জন্য অসুবিধাজনকে। কিভাবে বাধ্যতামূলকভাবে নাগরিকদের সাংস্কৃতিক জীবন সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দর্শকদের সুষ্ঠু পরিবেশ সরবরাহ করা যায় তা হল যাদুঘর পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেন্ঞ্জ।

এসব যাদুঘরের নাগরিকদের মধ্যে আত্মীক সভ্যতা প্রচারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমরা আশা করি, যাদুঘর একটি সাংস্কৃতিক বিনোদনের পদ্ধতি হিসেবে চীনে জনপ্রিয় হবে। ঐতিহাসিক সংস্কৃতি এখন চীনে একটি ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে এবং তা যুবকদের মধ্যে আরো ব্যাপক ও গভীর প্রভাব ফেলেছে। আমরা আশা করি, আরো বেশি যাদুঘর সুবিধা ব্যবস্থা নিয়ে নাগরিকদেরকে ইতিহাসের গল্প জানাবে।