এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি, লুক্সেমবার্গ ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। এটি সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রায় ৪০টি দেশের নিজেদের তৈরী করা ভবনের মধ্যে অন্যতম।
জানা গেছে, লুক্সেমবার্গ "বনের ভেতর দুর্গ" ভবনের এই দৃশ্য চীনের পর্যটকদের আকর্ষন করা ছাড়াও, তার ভিতর বিশেষভাবে শেনগেন নগরের দৃশ্যও প্রদর্শন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব মেলার দর্শকরা লুক্সেমবার্গ সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারবে।

শেনগেন লুক্সেমবার্গের সীমান্ত অঞ্চলের একটি নগর। ১৯৮৫ সালের ১৪ জুন ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ মিলে ৫টি দেশ এখানে বিখ্যাত "শেনগেন চুক্তি"তে স্বাক্ষর করে। এ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপীয় দেশ, বিশেষত ইইউ'র সদস্য দেশগুলোর পরস্পরের নাগনিক এবং পণ্যের অবাধ বিনিময়, ইউরোপের একীকরণ প্রক্রিয়াকে জোরদার করা। এখন "শেনগেন চুক্তি"ভুক্ত সদস্য দেশের সংখ্যা ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
লুও হাও লিন বলেছেন, "আমার বিশ্বাস, ইউরোপে যাওয়া অনেক চীনা লোকই 'শেনগেন চুক্তি'র কথা শুনেছেন এবং তা থেকে সুবিধা পেয়েছেন। ২০১০ সাল হবে'সেনকেন চুক্তি' স্বাক্ষরের ২৫ বছর। আমি আশা করি আগামী দিনগুলোয় আরো বেশি চীনা পর্যটক লুক্সেমবার্গসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করবেন"।
সাংহাই বিশ্ব মেলার এ ঐতিহাসিক সম্মিলনীকে ধরে রাখার জন্য, লুক্সেমবার্গ তার পরিকল্পণা অনুযায়ী আগামী বছর স্মারক ডাক টিকিট ও স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করবে। বিশ্ব মেলা চলাকালে লুক্সেমবার্গের ভবনে এসব মূল্যবান উপহার এবং লুক্সেমবার্গের বৈশিষ্টময় মাংসজাত দ্রব্য, চকোলেট ও হোয়াইট ওয়াইনসহ খাবার পাওয়া যাবে।

ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ হিসেবে, লুক্সেমবার্গের লোহা ও ইস্পাত শিল্প এবং টিভি শিল্প খুব উন্নত। এ দু'টো বিভাগেই লাসেনবার্গের সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা অংশ নিচ্ছে। টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে আরো বেশি ইউরোপীয় সাংহাই বিশ্ব মেলা সম্পর্কে জানতে পারবে।(থোং ইয়ুন ফোং) 1 2 |