v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
তিব্বতের হৃদরোগ আক্রান্ত কিশোর-কিশোরিদের সহায়তাকারী চিকিত্সক কু হোং
2009-08-10 17:01:04

আমি ভেবেছি যে, আমার আগে একজন নারী চিকিত্সক ছাড়া ৩৭০০ মিটার উঁচু মালভূমিতে অক্সিজেন ঘাটতি অবস্থায় এক দিনে ছ'টি অস্ত্রোপচার করেছে এমন আর কেউ নেই। এখন আমার বয়স ৫০ । যদিও আমি ক্লান্তি অনুভব করেছি। তবে আমি মনে করি, এখন রোগীদের আমাকে প্রয়োজন। তাদের রোগ নিরাময়ে চিকিত্সার প্রয়াস চালানো আমার উচিত।

চিকিত্সক কু হোংর সঙ্গে শল্য চিকিত্সক লি চিয়াং চিয়াং বলেন, এদিন চিকিত্সক কু হোং দশ কিলোগ্রাম রেডিয়েশন প্রতিরোধের কাপড় পরেছিলেন। এ কাজ তার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। চিকিত্সক লি চিয়াং চিয়াং বলেছেন, (৩)

চিকিত্সক কু সকাল নয়টা থেকে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। দুপুরে বিশ্রামের সময় শুধু কিছু ভাত খান। খাওয়ার শেষে তিনিও নতুন করে অস্ত্রোপচার করেছেন। এ পরিবেশ খুব কঠিন। তবে চিকিত্সক কু শিশুদের চিকিত্সার সময় ক্লান্তি ভুলে যান।

চিকিত্সক কু হোং কেবল দায়িত্বশীল ব্যক্তিই হন, বরং তিনি উচ্চ চিকিত্সা প্রদানের পাশাপাশি সবাইকে মানসিক শান্তিও দেন। ১৯৮৪ সালে কু হোং রাজধানী চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর পেইচিং আনচেন হাসপাতালের একজন চিকিত্সক হিসেবে কাজ করছেন। এরপর তিনি জাপান থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন। জাপানে বসবাসের সময় তিনি শিশুদের হৃদরোগ সমিতির সম্মাননা "যুবক গবেষণার পরস্কার" দু বারের মত পেয়েছেন। এ অভিজ্ঞ জাপানী পন্ডিতের প্রতিও তার শেখার অনেক কিছু রয়েছে। তিনি হচ্ছেন এ সম্মাননা পাওয়া প্রথম বিদেশী এবং প্রথম নারী চিকিত্সক। জাপান থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অব্যাহতভাবে গবেষণা করেছেন।

বিদেশে বসবাসের সময় ও কু হোং-এর সঙ্গে পেইচিং আনচেন হাসপাতালের যোগাযোগ ছিল। আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি মাঝেমাঝে চীনে ফিরে এসে কাজ করার কথাও ভেবেছিলেন। তবে ২০০৩ সালের একটি ঘটনার পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীবন পরিহার করে স্বদেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, (৪)

জাপানে দশ বছর থাকার সময় আমি নিয়মিত শিশুদের শল্যচিকিত্সা বিভাগের নেতার সঙ্গে আনচেন হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রোপচার করেছি ও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমি আনচেন হাসপাতালের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কখনো শেষ করি নি। আমার স্বদেশে ফিরে আসার প্রধান কারণ হল আমার বাবা অসুস্থ। তিনি লিভার ক্যান্সারে ভুগছেন। এ খবর জানার পর আমি আনচেন হাসপাতালের মহাপরিচালককে বলেছি, আমি ফিরে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমি আপনাকে স্বাগত জানাই।

চীন ফিরে আসার পর কু হোং'র নেতৃত্বাধীন বহু বিশেষজ্ঞই তিব্বতে গেছেন। তিব্বতে তার স্বাস্থ্য ভালো ছিল না। তিনি গুরুতর মাথা ব্যাথায় ভুগেছেন বহু দিন। এমনকি রাতে ঘুমাতেও পারতেন না। তবে তিনি তিব্বতে তার স্বেচ্ছাসেবা অব্যাহত রেখেছেন। চলতি বছরের আগস্ট মাসেও তিনি তিব্বতে গিয়েছেন। তিনি বলেন, আগস্ট মাসে অক্সিজেন পর্যাপ্ত থাকে। এটি তিব্বতে শিশুর হৃদরোগ চিকিত্সার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।


1 2
  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China