
২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর ইয়াং কোলির মৃত্যুবরণের দিন ছিল তুং ইয়ালুনের কাছে একটি অবিস্মরণীয় দিন । তিনি বলেন, তার মৃত্যুর সেই দিন সকালের কথা আমি কোনো দিনই ভুলব না । সে দিন ছিল শনিবার । তিনি বেলা ১০টার দিকে এখানে এসেছিলেন ।সবকিছু জেনে এবং লিখে নিয়ে তিনি চলে যান । বিকেলে খবর এসেছে,ইয়াং কোলি মারা গেছেন । আমি খবরটা গ্রামবাসীদের জানিয়েছি । গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় পুষ্পমাল্য কিনে ইয়াং কোলিকে বিদায় দিয়েছেন ।

ইয়াং কোলির গুরুতর হৃদরোগ ৫ বছর আগে চিহ্নিত হয় । সে দিন সকালে তিনি নাস্তা না খেয়ে দুজন সহকর্মীর সঙ্গে তা তুংছুন গ্রামে গিয়ে তদন্ত করেন । দুপুর বেলায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে জরুরী চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় । অবশেষে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় এবং চিকিত্সার ব্যর্থতায় তিনি মারা যান । মৃত্যুবরণকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর ।

অন্তেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের দিনে জেলা নগরের শ্মশান থেকে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের দুপাশে দাঁড়িয়েছিলেন হাজার হাজার গ্রামবাসী । তারা ইয়াং কোলিকে বিদায় জানাতে এসেছেন । একজনের মৃত্যুতে এত বেশি লোক তাদের শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেন এমন দৃশ্য হাজার বছর পুরানো এ জেলানগরে আগে কখনো হয়নি ।

ইয়াং কোলির মৃত্যু তার পরিবারের ওপর ভারি আঘাত হেনেছে । রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় ইয়াং কোলি নিজের স্বাস্থ্য উপেক্ষা করে যেভাবেকাজ করেছেন তা স্মরণ করে তার স্ত্রী লিউ মেইরোং খুব মুগ্ধ হন ।তার চোখে স্বামী ইয়াং কোলি এমন একজন ছিলেন তিনি সবসময় দেশের কথা গ্রামবাসীদের কথা মনে রাখতেন । আর্থিক অবস্থা তত ভাল না হলেও তাদের পারিবারিক জীবন ভালবাসা ও সুখশান্তিতে ভরপুর ছিল । তিনি বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কখনো ঝগড়া হয়নি । তিনি ছেলের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ।তার মৃত্যুর পর সরকার তাকে উচ্চ সম্মানসূচক খেতাব প্রদান করেছে । বৈষয়িক সম্পদের চেয়ে এ প্রশংসা অনেক মহান ।

এখন ইয়াং কোলির ছেলে ইয়াং কুয়াং পুলিশ স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছেন । তিনি বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে একজন গৌরবময় গণ পুলিশ হবেন । তিনি বলেন,মতাদর্শের দিক থেকে বাবা আমার জন্য অনেক মূল্যবান সম্পদ রেখে দিয়েছিল । আমি সবসময় বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাকে কাজে লাগাবো । 1 2 |