সংস্কৃতিকে অনুভব করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জীবনযাপনের ধারণা লাভ করা ছাড়াও আমাদের সাংহাই বিশ্ব মেলায় যাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রাণোচ্ছ্বল আনন্দ উপভোগ করা। নেদারল্যান্ডের প্রদর্শনী কেন্দ্র আপনাকে এই ধরনের অনুভুতি দেবে। এর একটি আদূরে নাম আছেঃ আনন্দ সড়ক। এটা হচ্ছে একটি কুণ্ডলিত আকারের সড়ক। বিভিন্ন স্টাইলের স্থাপত্য সড়কের দু'পাশে নির্মিত হয়। আনন্দ সড়কে গেলে নেদারল্যান্ডের ভবিষ্যতের সড়ক ও স্থাপত্য দেখতে পাবেন। নেদারল্যান্ডের বিশ্ব মেলা বিষয়ক পরিচালক ওয়াল্টার ভান উইলডেন বলেন,
নেদারল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ডিজাইনারকে বেশ কিছু সৃজনশীল ডিজাইন করার আমন্ত্রণ জানাই। 'নগর জীবনযাপনকে আরো সুন্দর করে তোলা' এই প্রসঙ্গ, আনন্দদায়ক নগর এবং আনন্দ সড়কের প্রসঙ্গ মেনে চলা হবে। নেদারল্যান্ড সড়কের তত্পরতা প্রতিফলনের পাশাপাশি মানুষকে এই আনন্দ সড়কে আরো সুন্দর জীবনযাপনের অনুভূতি এনে দেবে।
এই তিনটি প্রদর্শনী কেন্দ্র ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রদর্শনী কেন্দ্র, জাপানের প্রদর্শনী কেন্দ্র, ইতালির প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং কানাডার প্রদর্শনী কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী কেন্দ্র নিজেদের ডিজাইন ও পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু প্রদর্শনী কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ১ মে সাংহাই বিশ্ব মেলা শুরু হওয়া পর্যন্ত পর্যটকরা বিশ্বের বুদ্ধিদীপ্ত সৃজনশীল একটি প্রদর্শনী দেখতে পারবেন।
এবারের সাংহাই বিশ্ব মেলার লক্ষ্য হচ্ছে ৭ কোটি পর্যটককে আকর্ষণ করা। সে সময় অনেক প্রদর্শনী কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করার মত অবস্থা হবে। তবে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই, বিশ্ব মেলায় বিস্ময়কর প্রদর্শনী কেন্দ্রের পাশাপাশি আপনি দেখতে পারবেন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ব মেলা ব্যুরোর উপমহাপরিচালক হু চিন চুনের ব্যাখ্যা অনুসারে এবারের সাংহাই বিশ্ব মেলার সাংকৃতিক অনুষ্ঠানের স্থানটি হচ্ছে বিশ্ব মেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হবে। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী পক্ষকে সুষ্ঠু পরিবেশ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সাংহাই বিশ্ব মেলার প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। হু চিন চুন বলেন,
আনুষ্ঠানিক মঞ্চ থাকার পাশাপাশি মহাচত্বর মঞ্চও আছে। বলা যায় বর্তমানে তা প্রধান প্রধান সব ধরনের পরিবেশনার রূপ রয়েছে। এ মঞ্চে প্রতি দিনের তত্পরতার সংখ্যা শতাধিক হবে। বিশ্ব মেলা পার্কে ১৮৪দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। পার্কের বাইরে বেশ কিছু পারস্পরিক সমঝোতাপূর্ণ তত্পরতাও অনুষ্ঠিত হবে।
সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক তত্পরতার মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সমাপ্তি অনুষ্ঠান, সপ্তাহান্তে ও অন্যান্য বিশেষ দিনের পরিবেশনাসহ নানা ধরনের মনোঞ্জ অনুষ্ঠান।
এছাড়া বিশ্ব মেলায় অংশগ্রহণকারী পক্ষ মঞ্চ পরিবেশনা, মহাচত্বর তত্পরতা, প্রমোদভ্রমণ এবং ডিজাইন সংগ্রহসহ বিভিন্ন তত্পরতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ও চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি প্রদর্শন করবে। ছ'মাসব্যাপী সাংহাই বিশ্ব মেলা চলাকালে ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা, ওশেনিয়া, এশিয়া ও চীন নীতিগত শৃঙ্খলা অনুযায়ী বিভিন্ন তত্পরতার প্রসঙ্গ প্রস্তুত করা হয়েছে। সে সময় আমরা সবাই বিশ্বের ৫টি মহাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও তত্পরতা দেখতে পারবো। 1 2 |