বিশ্ব মেলা অক্ষরেখার মাটির উপর ও ভূগর্ভে পৃথক পৃথকভাবে দু'টো তলা আছে। এটা হচ্ছে ব্যবসা, খাবার, বিনোদন ও প্রদর্শনী সেবাসহ বিভিন্ন নির্দিষ্ট কর্ম নিয়ে গঠিত একটি বৃহদাকার ব্যবসা ও পরিবহণের বহুমুখী গোষ্ঠী।
বিশ্ব মেলা ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক হুয়াং চিয়ান জি বিশ্ব মেলা পার্কের বৃহত্তম একীকরণ স্থাপত্য সম্পর্কে বলেন,
তা সুর্যের আলোর উত্স্য। এতে নতুন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ভুমিকা হচ্ছে সুর্যের আলো ভূগর্ভস্থ দুটো তলায় প্রতিফলিত।
'একটি অক্ষরেখা, চারটি প্রদর্শনী কেন্দ্র'সহ স্থাপত্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শৈল্পিক স্থাপত্য হচ্ছে পরিদর্শন কেন্দ্র। বিশ্ব মেলা ব্যুরোর পথপ্রদর্শক চাং সি বলেন,
যার আকার পিরিচ-আকৃতির অজানা উড়ন্ত বস্তুর মতো তা হচ্ছে পরিবেশন কেন্দ্র। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দর্শকের সংখ্যা অনুসারে আসনের সংখ্যা সমন্বয় করা যায়। ইতোমধ্যে এখানে ৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার পর্যন্ত দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন করে তোলা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ব মেলার প্রসঙ্গ নিয়ে গভীর বিয়োগ করার জন্য এবারের বিশ্ব মেলায় প্রসঙ্গ প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করার মধ্য দিয়ে শহুরে জীবন, তারকা এবং ভবিষ্যতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর দুটো প্রদর্শনী অঞ্চল আছে। দুটি অঞ্চলে জ্বালানী সাশ্রয় ও পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পথপ্রদর্শক চাং সি বলেন,
প্রসঙ্গ প্রদর্শনী কেন্দ্রের ছাদ ঢালু ছাদের ওপরে বসানো খাড়া জানালার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহের সাজ-সরঞ্জাম আছে। কাছাকাছি ৭শ' বর্গমিটারের বাগানে সরাসরি পানিও দেয়া যায়।
'একটি অক্ষরেখা, চারটি প্রদর্শনী কেন্দ্র'-এর মধ্যে সর্বশেষ স্থাপত্য হচ্ছে বিশ্ব মেলা কেন্দ্র। এর তথ্য কেন্দ্র ও বিশিষ্ট অতিথিদের অভ্যর্থনাসহ বিভিন্ন বহুমুখী নির্দিষ্ট কর্ম আছে। বিশ্ব মেলা চলাকালে নানা রকমের সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত স্থানের পাশাপাশি সংবাদ প্রচার, ভোজ সভা ও অতিথি অভ্যর্থনাসহ বিভিন্ন সেবাও প্রদান করা হবে।
বিশ্ব মেলার কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী বিশ্ব মেলার দুটো লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৭০ লাখ দর্শককে আকৃষ্ট করা। সুতরাং কীভাবে পরিবহণ সমস্যার সমাধান হচ্ছে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাংহাই বিশ্ব মেলা ব্যুরোর প্রচার কর্মী তিয়াও ফেই ছুই বলেন,
পুরো পার্কের পাঁচটি পথ পরিবহণ পার্কের কাছে এসে মিশেছে। লু পু সেতু'র পাশে থাকা বিশ্ব মেলার ১৩ নম্বর লাইন রয়েছে। এটা বিশ্ব মেলার বিশেষ লাইন। ছ'মাসব্যাপী বিশ্ব মেলা চলাকালে শুধু পার্কের জন্যই এটা খোলা থাকবে। বিশ্ব মেলা শেষ হওয়ার পর লাইনটি সম্প্রসারিত হবে। এছাড়া নদীর নিচে দুটো সুরঙ্গ এবং তিনটি নৌবন্দর রয়েছে। পর্যটকরা খুব সহজেই যাতায়াত করে বিশ্ব মেলাকে উপভোগ করতে পারবেন। 1 2 |