v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
 ওয়াং হুইইয়াওয়ের কাহিনী
2009-04-09 20:58:10

 

১৯৭৮ সালে চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের নীতি চালু হয় । আর্থ-জীবন থেকে অধিবিদ্যা পর্যন্ত সবদিকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ শুরু হয় ।এর পরের ৩০ বছরে ১০ লাখ চীনা তরুণতরুনী হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে বিদেশে লেখাপড়া করতে যান । তাদের মধ্যে অনেকে লেখাপড়া শেষে বিদেশ থেকে স্বদেশে ফিরে আসেন ।

তারা নিজেদের শিখে নেয়া প্রগতিশীল অভিজ্ঞতা ও ধারণা দিয়ে সক্রিয়ভাবে মাতৃভূমির অর্থনৈতিক নির্মান কাজে অংশ নেন এবং চীনের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । চীনারা তাদেরকে "হাইকুই" অর্থাত বিদেশ থেকে ফিরে আসা ছাত্রছাত্রী বলে ডাকে । চীনের ইউরোপ-আমেরিকা ছাত্র সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউরোপ-আমেরিকা ছাত্র সমিতির বাণিজ্য সমিতির চেয়ারম্যান ওয়াং হুই ইয়াও তাদের মধ্যে একজন ।

ওয়াং হুইয়াও চীনের প্রথম দলের ছাত্রের মধ্যে একজন ছিলেন যিনি ১৯৭৮ সালে চীনে পুনরায় শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন । পাশাপাশি তিনি সবার আগে বিদেশে গিয়ে এম-বি-এ পড়া ছাত্রদের মধ্যে একজন ছিলেন । এ সম্পর্কে তিনি বলেন,আমি প্রথমবার জানতে পেরেছি যে , বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালনা ,ব্যবস্থাপনা , অর্থ এবং পারশন বিষয়কে সমন্বিত করা এম-বি-এ সাবজেক্ট রয়েছে । আমার ভাল লেগেছে বলে বিদেশে এম বি এ পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।

লেখাপড়া শেষ করার পর প্রথমে তিনি বিদেশে চাকরি করাকে বেছে নেন । চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পরের প্রথম দিকের বিদেশে পড়ুয়া ছাত্র হিসেবে তিনি অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন । তিনি দেশি-বিদেশী সরকারী অফিস ও বেশ কয়েকটি আন্তর্দেশীয় কোম্পানিতে কাজ করেছিলেন । বিংশশতাব্দীর নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে উদীয়মান উন্নত স্বদেশে তিনি দ্বিধাহীনভাবে ফিরে আসার পথ বেছে নেন ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এ সময়কাল একটি ভাল সুযোগ ।আমি স্বদেশে বড় হয়েছি ।দেশের সবকিছু আমাকে আকর্ষণ করে । পরবর্তীকালে চীনের উন্নয়নে আন্তর্জাতিকায়নের দক্ষ মানুষের চাহিদা বাড়বে ।বিদেশ থেকে ফিরে আসা ছাত্রের মধ্যে অনেকেই এধরনের দক্ষ মানুষ ।

সবচেয়ে আগে বিদেশ থেকে ফিরে আসা ছাত্রের মধ্যে একজন হিসেবে ওয়াং হুইইয়াও স্বাভাবিক তার মতো বিদেশ থেকে ফিরে আসা ছাত্রদের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন । তিনি মনে করেন, চীনের বিদেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিগন ইতোমধ্যেই সমাজের একটি বড় নতুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে যাকে উপেক্ষা করা যায় না ।যুক্তরাষ্ট্রের নাস্তাক বাজার চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগ চীনের বিদেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠা করেছে ।

চীনে বিখ্যাত ওয়েবসাইট sohu ও baidu তারা প্রতিষ্ঠা করেছেন ।তারা চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনযাপনের পরিবর্তনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন । যাতে রাষ্ট্রের ও জাতির উন্নয়নের দিকের সঙ্গে তারা নিজের ব্যক্তিগত কাজ সমন্বয় করতে পারেন তার জন্য তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয় নিয়ে ওয়াং হুইইয়াও ভাবতে শুরু করেন ।

তিনি বলেন, বিদেশে অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীদের বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে আমি খুবই আগ্রহী । গত ৫ বছরে এ বিষয় নিয়ে আমি বেশ কিছু কাজ করেছি । বিষয়টি থেকে চীনের আন্তর্জাতিকায়ন এবং সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৩০ বছরের এক বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয় । তা হল বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী স্বদেশে ফিরে আসেন ।

এক বিংশশতাব্দীতে প্রবেশের পর চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন দ্রুত হয়েছে । বিদেশ থেকে স্বদেশে ফিরে আসা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বিপুল সংখ্যায় বেড়ে যায় ।এ পটভূমিতে ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে ওয়াং হুইয়াওয়ের উদ্যোগে"ইউরোপ-আমেরিকা ছাত্র সমিতির বাণিজ্য সমিতি"প্রতিষ্ঠিত হয় । এটা বিদেশ থেকে ফিরে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মতবিনিময় করার এক মঞ্চ স্থাপন করেছে ।

1 2
  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China