v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
নিজের জায়গায় নিজেই দায়িত্ব পালন করি
2009-04-07 20:35:16

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছাত্রের সংখ্যা একটানা কয়েক বছর ধরে বেড়ে গেছে । এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে , ২০০৯ সালে ৬১ লাখ ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবে ।

কিন্তু বিশ্ব আর্থিক সংকটের প্রভাবে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছাত্রছাত্রীরা কর্মসংস্থানের কঠিন চাপের সম্মুখীন হচ্ছে । চীন সরকার শহর এবং গ্রামাঞ্চলের নিম্ন স্তরে কাজ করতে ছাত্রছাত্রীদের উত্সাহ দেয়া এবং আর্থিক অবস্থা ভাল নয় এমন ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সহ ধারাবাহিক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে । গত কয়েক বছর বহু ছাত্রছাত্রী স্বনির্ভরশীল হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার কাজ বেছে নিয়েছেন । একটি গানের প্রথম কথা এমনি :আমার জায়গায় আমি নিজেই সব সঠিক করি ।

৪ জন তরুণতরুণী যে কাজ বেছে নিয়েছে তা হল পাত্রপাত্রীদের জন্য বিয়ের পোশাক ডিজাইন করা এবং মেকাপ করা । তাদের "তুচি হুপো"নামের অফিসটি পেইচিংয়ে অবস্থিত । এর অর্থ রাজধানীর একটি সুন্দর স্ফটিক । এখানে সবসময় মধুর সুরের সঙ্গীত শোনা যায় । রুমে সারিসারি নানা রঙের বিয়ের পোশাক ও জুতা । চার জনের মধ্যে একজন ছেলে ,তার নাম ইয়াং মিয়াও আর তিনজন মেয়ে ।

ফান ফান,লি তান ও মেই চি তিন জনের নাম । এটা তাদের তৃতীয় অফিস ।ফান ফান বলেন,আমাদের প্রথম অফিসের আয়তন মাত্র কয়েক বর্গমিটার । প্রথম দিকে আমাদের খুব কষ্ট ও অসুবিধা হতো । কিন্তু সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের"তুচি হুপো" অফিস খোলা হয়েছে ।

নিজদের অফিস খোলা সম্পর্কে ইয়াং মিয়াও বলেন,প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমাদের পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না । ছিল না ব্যাপক সম্পর্ক । তাই আমাদের প্রবনতার সাথে নিজেকে সঙ্গতি রাখতে হবে এবং এথেকে আমাদের সুযোগ খুঁজে বের করতে হবে ।

ইয়াংমিয়াও ও তার সাথীরা নিজেদের পছন্দনীয় কাজ খুঁজে বের করেছেন । তারা নিজেদের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি পাত্রপাত্রীর বৈশিষ্ট্য অনুসারে ভিন্ন ডিজাইন করেন । তাদের ডিজাইনে সজ্জিত প্রতিটি বর-কন্যার নিজের স্ববৈশিষ্টপূর্ণ সৌন্দয দেখা দেয় । এসম্পর্কে ইয়াং মিয়াও বলেন, অতিথিরা আমাদের সেবা ও দ্রব্যের গুণগতমানের খুবই প্রশংসা করেন ।

অতিথি ও আমাদের মধ্যে মতবিনিময় কেনা ও বেচার মতো সহজ নয় । দুপক্ষের মধ্যে গভীর যোগাযোগ দরকার । এখন আমাদের দুপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে । এটা শুধু একটা সফল ব্যবসা নয় । তারা যার যার বন্ধুকে নিয়ে আসতে পারেন । এটা এক ধরণের টেকসই উন্নয়নের প্রক্রিয়া ।

চমত্কার সেবাদান ও ভাল পরামর্শের প্রতিদানে "তুচি হুপো" মুনাফা লাভ করতে শুরু করে । মুনাফা বেশি না হলেও চারজন তরুণতরুণী সাফল্যের আনন্দ অনুভব শুরু করেন । ইয়াং মিয়াও বলেন, টাকাপয়সা সাফল্যের প্রতীক নয় । সাফল্যের প্রক্রিয়া থেকে আমরা এক ধরনের আবেগ এবং সাফল্যের আনন্দ অনুভব করতে পারি । সাফল্য সম্পর্কে এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত ।

যখন " তুচি হুপো"র ব্যবসা ধাপেধাপে স্থিতিশীল হয়ে যাচ্ছে ঠিক এ সময় আর্থিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে । কাপড়ের সংকটও দেখা দিয়েছে । দক্ষিণাঞ্চলের সরবরাহকারী ব্যবসায়ী হঠাত কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে । কিন্তু তাদের আগে স্বাক্ষরিত অডারের দাম বাড়াতে পারবে না । অর্থের অভাবে চারজন তরুণতরুণী অস্থির হয়ে ওঠে । নিরুত্সাহ ইয়াং মিয়াও বলেন, আমি অস্থির হলাম । আমি বাইরে কাজ খুঁজতে গেছি । যাতে আর্থিক চাপ প্রশমিত করা যায় এবং সময় করে ব্যাপারটা ভালভাবে বিবেচনা করা যায় ।

1 2
  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China