v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
'খাদ্য নিরাপত্তা আইন' প্রকাশের পিছনের কথা
2009-03-02 18:16:45

    'দুধ কেন্দ্রের' ওপর তত্ত্বাবধানের অভাব ছিল গুড়ো দুধ ঘটনার উদঘাটিত সমস্যার অন্যতম। তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা সঠিকভাবে বজায় রাখা হচ্ছে 'খাদ্য নিরাপত্তা আইন' এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে। তত্ত্বাবধান বিভাগ উত্পাদন ক্ষেত্রের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে। শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগ বিক্রি ক্ষেত্রের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে। খাদ্য ও ওধুষ বিভাগ রেস্তোঁরার সেবা ক্ষেত্রের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে। এরই ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় পরিষদের অধীনে খাদ্য নিরাপত্তা কমিটি প্রতিষ্ঠা করে আরো উচ্চ পর্যায়ের পরিচালনা ও সমন্বয় কাজ করে।

    চলতি  বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে একাদশতম জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির সপ্তম অধিবেশনে এ খসড়ার চতুর্থ দফা পর্যালোচনা করা হয়েছে।

    'খাদ্য নিরাপত্তা আইন' এর খসড়া নিয়ে ভোটদানের আগে প্রকাশিত কয়েকটি পরিসংখ্যান আমাদের মনে গভীর দাগ কেটেছে। খসড়া প্রকাশের পর সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে ই-মেইল, চিঠি ও ওয়েবসাইটের মন্তব্যসহ নানা পদ্ধতিতে ১১৩২৭টি মতামত পাওয়া যায়। তা ছাড়া জাতীয় গণ কংগ্রেসের আইন কমিটি ও শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও স্বাস্থ্য কমিটি এ খসড়া পর্যালোচনার জন্য নয় বার অধিবেশনের আয়োজন করে। জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি এ আইনের জন্য ১৩ বার গবেষণা অভিযান পরিচালনা করে। জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির আইন বিষয়ক কমিটি চীনের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রশাসিত মহানগর, ২৭টি প্রদেশের রাজধানী, ১৮টি অপেক্ষাকৃত বড় শহর, ৪টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল, ২৮টি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের মন্ত্রণালয়, ৬টি সামাজিক গোষ্ঠী, ১৬টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর আইন ইনস্টিটিউট ও সর্বোচ্চ আদালত, সর্বোচ্চ গণ অভিশংসক সংস্থা, কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের আইন বিষয়ক ব্যুরোসহ নানান সংস্থার মতামত সংগ্রহ করেছে।

    সর্বশেষে প্রকাশিত আইন কাগজে কলমে লিখিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, বেসরকারী আওয়াজ আইন প্রণয়নের ওপর এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    সর্বাধিক মাত্রায় নাগরিক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য "খাদ্য নিরাপত্তা আইনে' জোরালো ভাষায় বেসরকারী ক্ষতিপূরণের অগ্রাধিকার নীতি উল্লেখ্য করা হয়েছে। অর্থাত্ 'সমস্যা সৃষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান' প্রথমে বেসরকারী ক্ষতিপূরণ করার পর ব্যবস্থাপনা বা ফৌজদারী দায়িত্ব পালন করবে।

    'খাদ্য নিরাপত্তা আইন'-এর ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

    আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট চীনের গণ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান উ পাং কুও একাধিক বার বলেছেন, 'খাদ্য নিরাপত্তা আইন' হচ্ছে জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সবচেয়ে মনোযোগী আইন প্রণয়নের অন্যতম। তিনি এ আইনের খসড়া ভালোভাবে সংশোধন করা এবং সুসম্পন্ন করার জন্য বহু বার আদেশ দিয়েছেন।

    এখন চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস ও গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় 'খাদ্য নিরাপত্তা আইন' প্রকাশ করা হচ্ছে আইন প্রণয়ন সংস্থার চীনা জনগণকে দেয়া সবচেয়ে বাস্তব উপহার। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)


1 2
  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China