
লি ই নিংয়ের এ প্রস্তাব অন্যান্য পন্ডিতগণের বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছিল। তখন চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ মাত্র শুরু , লিমিটেড ব্যবস্থা অনেকের জন্য শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা জানতেন না। সেটায়ে শুধু শেয়ারের বিষয়, এ সম্পর্কে তেমন একটা ধারণাও তাদের ছিল না।

এর পর সারা চীনে দায়িত্ব-বন্টন ব্যবস্থা চালু হয়ে গেল। তবে লি ই নিং তাঁর লিমিটেড ব্যবস্থার পক্ষে অবিচল রয়ে যান। তিনি মনে করলেন, দায়িত্ব-বন্টন শুধু একটি অন্তর্বতী ব্যবস্থা। কিছু কিছু মাত্রায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের উদ্যোগ বেশি হলেও মূদ্রাস্ফীতি এবং পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ তা সমস্যাকে অতিক্রম করতে পারে না। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে শেষে লিমিটেড ব্যবস্থা সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

গত শতাব্দীর ৮০ দশকে চীনে লিমিটেড ব্যবস্থার সংস্কার সংক্রান্ত পরীক্ষামূলক কাজ চালু হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব-বন্টন ব্যবস্থাকে লিমিটেড ব্যবস্থায় পরিণত করা হয়। ১৯৯০ সালে চীনের প্রথম শেয়ার বিনিময় সংস্থা--শাং হাই শেয়ার বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ থেকে চীনের লিমিটেড ব্যবস্থার সংস্কার ব্যাপকভাবে বাস্তব রূপ লাভ করে । এ সম্পর্কে লি ই নিং বলেন:

" লিমিটেড ব্যবস্থার সংস্কার ত্বরান্বিত করায় চীনে শেয়ার বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সেসময় এ ব্যবস্থা ততটা পূর্ণাঙ্গতা পায়নি, তবে তা চীনের সরকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও শেয়ার বাজারের উন্নয়নে একটি নতুন সূচনা সৃষ্টি করেছে।"

আজ লিমিটেড ব্যবস্থা সকল মনে ইতিবাচক ছাপ ফেলেছে। শেয়ার বিনিময়ও অনেকেইর নিত্যদিনের একটি আনন্দময় কাজের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনের শেয়ার নিবন্ধিত কোম্পানির এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ২০০৮ সালের জুলাই মাসের শেষ দিকে চীনের শাং হাই এবং শেন চে দু'টি শেয়ার বিনিময় সংস্থার মোট শেয়ার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা হয়েছে ১০ কোটি । গত অক্টোবরের শেষ দিকে এ দু'টি শেয়ার বিনিময় সংস্থার মোট মূল্য হয়েছে ৪.৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।

গত শতাব্দীর ৯০ দশকে চীনের অর্থনৈতিক সংস্কার অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাছে। তবে এ সময় চীনের আর্থিক শৃঙ্খলার একটু অস্বাভাবিক হয়েছিল। চীনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অবিরাম উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

1 2 3 |