
মেই সি গোষ্ঠী হচ্ছে হংকংয়ে সেট মিল মানে নির্ধারিত খাবার ক্ষেত্রের একটি বিখ্যাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান। পশ্চিমা দেশগুলোর খাবার তৈরীর কারণে এর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উ সু ছিং হচ্ছেন এ গোষ্ঠীর মালিকা। সম্প্রচারের খবর যেমন ভাবা তেমন কাজ।

তা হলো চীনে একটি যৌথ মালিকানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালানো। এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের শিল্পপতি চীনে এসে পুঁজি বিনিয়োগ করবেন। এ ক্ষেত্রে বিমান হচ্ছে তাদের চীনে আসার একমাত্র বাহন। তবে সেসময় চীনে বিমানে ভ্রমণ করার সময় অধিকাংশ খাবার ছিলো ঠান্ডা খাবার এবং তা শুধু মাত্র কয়েক ধরণের। যা আন্তর্জাতিক খাদ্যদ্রব্যের মানদন্ডের সনকক্ষ নয়। সুতরাং, বিমানের উন্নত খাবার তৈরীর দুয়ার উন্মুক্ত। এ সম্পর্কে উ সু ছিং বলেন:

" চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৭তম জাতীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পর, কার্যকর হয়েছে এমন সব নীতি-মালার মধ্যে মোট ১৪টি ধারণা হচ্ছে বৈদেশিক পুঁজি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত সম্পর্কিত বিষয়। সেজন্য হংকংয়ে ফিরে আসার পর মূলভূভাগে খাবার তৈরীতে লাভ হবে কী না সে সম্পর্কে আমি আমার বাবার সঙ্গে আলোচনা করি।"

আমার বাবা আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। সেসময়ও ঠিকভাবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দু'পক্ষের সরাসরি বিমান লাইন চালু হয়েছে মাত্র। সুতরাং আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিমানে খাবার সরবরাহ করা খুব জরুরি। ১৯৭৯ সালের জুন মাসে বিমানে খাবার সরবরাহ সংক্রান্ত সহযোগিতর বিষয় নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় সাধারণ বিমান ব্যুরো উ সু ছিং ও তাঁর বাবাকে পেইচিংয়ে আসার আমন্ত্রণ জানায় ।

তবে আলোচনা এতো সুষ্ঠুভাবে হয় নি। সেসময় হংকংয়ের প্রতি চীনের সার্বভৌমত্ব পুনরায় বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছিল । উ সু ছিং অন্যাণ্য বৈদেশিক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। এমন কি, দু'পক্ষ পারস্পরিকভাবে জানতেও সক্ষম হয়নি। সুতরাং এর অগ্রগতি বেশ কম। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

" প্রথম মূলভূভাগে এসে স্ট্যান্ডার্ড চীনা ভাষা কিছুই বলতে পারি না। সেজন্য মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে বেশ কষ্ট হতো। সেসময় চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ঠিক শুরুর দিক । মূলভূভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মীরা বৈদেশিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার সময় অনেক সতর্কতার সঙ্গে কথা বলেন।"
1 2 3 |