
(লন্ডন অলিম্পিক গেমস ১৯০৮'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান)
১৯৪৮ সালে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা পুনরায় লন্ডনে ১৪তম অলিম্পিক গেমসে মিলিত হন। সেবারের অলিম্পিক গেমস ছিল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর প্রথম অলিম্পিক গেমস। এটি হল অলিম্পিক গেমসের নতুন আরেকটি সূচনাবিন্দু। অলিম্পিক গেমস হল শান্তি ও মৈত্রীর প্রতীক। এ সম্পর্কে ক্লেগ বলেন, '১৯৪৮ সালে লন্ডন এক কঠিন অবস্থায় ছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বেশি দিন পার হয় নি। কিন্তু অলিম্পিক গেমস যুদ্ধের পর পুনরায় ফিরে এসেছে।'
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার অনেক দেশও ১৯৪৮এর অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিল। সেবার মোট ৫৯টি দেশ ও অঞ্চলের ৪হাজার খেলোয়াড় অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল একটি নতুন রেকর্ড।

(লন্ডন অলিম্পিক গেমস ১৯০৮'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান)
আসলে বিশ্ব যুদ্ধ সারা বিশ্বে প্রবল নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। তখন বিভিন্ন দেশ পুনর্গঠনের কাজের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিল। সেজন্য ১৯৪৮এর অলিম্পিক গেমস খুব সফল হতে পারেনি। সেবারের অলিম্পিক গেমসে মোট চারটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে কোনো বিশ্ব রেকর্ড হয় নি। ব্রিটেন স্বাগতিক দেশ হিসেবে মাত্র তিনটি স্বর্ণপদক নিতেছিল।
১৯৪৮তে-এর অলিম্পিক গেমস প্রথম বারের মত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল। এর ফলে আরো বেশি মানুষ অলিম্পিক গেমস দেখার সুযোগ পেয়েছিল। যদিও তখন প্রযুক্তি এখনকার মতো আধুনিক ছিল না, তবুও এই দু'বারের লন্ডন অলিম্পিক গেমস আধুনিক অলিম্পিক গেমসের উন্নয়ন এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।
ছাই ইউয়ে 1 2 |