আমার চীনা স্বেচ্ছাসেবক বন্ধু
শাহেদ আফরাজ খান চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র চীন আন্তর্জাতিক বেতারের উর্দু বিভাগের বিশেষজ্ঞ। তিনি মহামারী চলাকালে নতুন একজন চীনা বন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি বলেন, "আমি নিয়মিত বাড়ির কাছাকাছি একটি কমিউনিটিতে গিয়ে ফল, চাল ও খাবার পানি ক্রয় করতে যাই। তবে মহামারীর কারণে কমিউনিটির বাসিন্দা ছাড়া অন্য মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। কমিউনিটির সামনে সববময় দেখা যায় ৪-৫ জন দাঁড়িয়ে আছেন। শুরুতে তাদেরকে নিরাপত্তা প্রহরী বা সরকারি কর্মী মনে করি। তবে পরে জানি তারা সব স্বেচ্ছাসেবক। পালা করে তারা ২৪ ঘন্টার মতো কাজ করেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে একজন ইংরেজি বলতে পারেন। তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়। আমি কমিউনিটিতে গিয়ে কিছু খাবার পানি নিতে চাই। এ যুব স্বেচ্ছাসেবক আমাকে বাধা দিয়ে বলে, 'আপনি আমার বন্ধু। তবে নিয়ম অনুযায়ী আপনি প্রবেশ করতে পারেন না। যদি আপনি কিছু চান, আমাকে বলুন, আমি সাহায্য করব।' শুরুতে আমি ভাবি সে কেবল এমনি বলে। তবে পরে তার আচরণ দেখে আমি খুব অভিভূত হই। আমি কমিউমিটিতে একটি মেশিন থেকে পানি নিতে চাই, তাই সে আমার জন্য পানি নিয়ে আসে। দরজা থেকে মেশিন পর্যন্ত কিছু ব্যবধান আছে এবং প্রতিবার তিনি ২০ লিটার পানি নিয়ে আমাকে দেয়। শীতকালে এমনকি তুষারের সময়ে সে আমাকে এমন সাহায্য দেয়। পাশাপাশি অন্য মানুষের সঙ্গেও সে সবসময় আন্তরিকভাবে ও বিনয়ের সাথে কথা বলে। একবার সে দেখে আমার মাস্ক নেই। সে আমাকে দুটি নতুন মাস্ক দেয়।
মহামারী মোকাবিলার সময় এ বন্ধুর মতো অনেক স্বেচ্ছাসেবক দিন-রাত কাজ করেন এবং আমাদেরকে রক্ষা করেন। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভে তাদের বড় ভূমিকা আছে। আমি সকল স্বেচ্ছাসেকদেরকে শ্রদ্ধা জানাই।" (শিশির/আলিম/রুবি)