চীনের প্রতি গ্রিসের ছাত্রছাত্রীদের আবেগ, মালভূমির অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম, চীনা বিমান বাহিনীর সহায়তায় স্নাতক তিব্বতি মেয়েদের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কার
  2019-11-18 15:21:10  cri

চীনা বিমান বাহিনীর সহায়তায় স্নাতক তিব্বতি মেয়েদের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কার

গত ১১ নভেম্বর চীনা গণমুক্তি ফৌজের বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে ৫ জন তিব্বতি জাতির স্নাতক ছাত্রী চীনা বিমান বাহিনীর এক ক্যাম্প পরিদর্শনের সুযোগ পান। গত ২৫ বছরের মধ্যে তিব্বতে নিযুক্ত চীনা বিমান বাহিনীর এক শাখা দলের অর্থায়নে তিব্বতে মোট ১১টি স্কুল নির্মিত হয়েছে এবং ৩৫৯৯ জন শিক্ষার্থী অর্থসহায়তা পেয়ে স্নাতক হয়েছে।

২৪ বছর আগে লাসা শহরের তাংসিয়োং জেলায় ৬ বছর বয়সী ইয়ু জুওমা অনাথ হিসেবে তার খালার বাসায় বড় হতে থাকে। তখন স্থানীয় সরকার তার অবস্থা জেনে জুওমাকে বিনা খরচ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে। এ গল্প স্মরণ করে জুওমা বলেন, 'তখন আমি ছোট, তবে স্কুলে যাওয়ার কথা শুনে খুবই খুশি হলাম।' স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর সামরিক ইউনিফর্ম পড়ে সৈন্যরা নিয়মিতভাবে আমাদের দেখতে আসেন। তাদের মধ্যে একজন আমাকে ১০০ ইউয়ান দেন, তখন বুঝতে পারি যে, গণমুক্তি ফৌজের সহায়তায় আমি শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি।'

২০১২ সালে তিব্বতে সর্বপ্রথমে কিন্ডারগার্টেন থেকে উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত টানা ১৫ বছরের বিনা খরচের শিক্ষা গ্রহণ ব্যবস্থা চালু হয়। সেই বছর থেকে বিমান বাহিনীর অর্থসহায়তা পরিকল্পনা ছোট বয়সের বাচ্চা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ পর্যায়ের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়।

১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করা চিয়ানছানওয়াংমু লাসা শহরের মোজুকুংখা জেলার তাংচিয়াজুও গ্রামের গ্রামবাসী। তার পিতার শারীরিক অবস্থা দুর্বল, মা পশুপালন করে ৩ জন বাচ্চাকে দেখাশোনা করেন।

২০১৪ সালে উচ্চবিদ্যালয়ে চিয়ানছানওয়াংমু বিমান বাহিনীর সহায়তা গ্রহণকারী ছাত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন প্রতি বছর ১২০০ ইউয়ান পেয়ে বই ও জীবনযাপনের কিছু খরচ বহন করে এবং তিব্বতের তিব্বতি ওষুধ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

কয়েক দিন আগে বিমান বাহিনীর সামরিক ক্যাম্প পরিদর্শনের বিজ্ঞপ্তি পেয়ে তিনি অনেক আনন্দ বোধ করেন।

২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে চমত্কার ফলাফল লাভ করে ইয়ুজুওমা বিমান বাহিনীর একজন নারী সৈন্য হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে বিমান বাহিনীর সহায়তা পান জুওমা এবং ২০১৪ সালে একই সহায়তা পান চিয়ানছানওয়াংমু। দু'জন নারী শিক্ষার্থী সামরিক ক্যাম্পে পরস্পরের সাথে পরিচয় হন এবং নিজের গল্প বিনিময় করেন।

এ মুগ্ধকর গল্প স্মরণ করে চিয়ানছানওয়াংমু বলেন, যদিও আমি জানি বিমান বাহিনীর সৈন্যরা আমাকে সাহায্য দিয়েছেন, তবে আমার জীবনে প্রথমবারের মতো সামরিক ক্যাম্পে প্রবেশ করা। স্নাতক হওয়ার পর তিব্বতি এলাকার জনগণের সেবা করবো এবং গণমুক্তি ফৌজের সৈন্যদের আন্তরিকতা ছড়িয়ে দেবো।

প্রিয় শ্রোতা, সময় দ্রুত চলে যায়। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানও এখানেই শেষ করতে হবে। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn,caoyanhua@cri.com.cn

সময় মতো আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারবেন। ওয়েবসাইটের ঠিকানা: www.bengali.cri.cn

তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, থাকুন সুন্দর ও আনন্দে। আগামী সপ্তাহের একই দিনে একই সময়ে আবারো কথা হবে। যাই চিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল/মুক্তা)


1  2  3  
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040