চীনা প্রেসিডেন্ট সি'র রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ, এশিয়ায় উচ্চশিক্ষার বৃহত্তম গন্তব্যদেশ চীন, ফিলিপিন্সে প্রবাসী চীনার সহায়তায় নির্মিত দরিদ্র শিশুকেন্দ্র ও কিউএসের প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং
  2019-06-24 16:20:09  cri

প্রবাসী চীনার সহায়তায় ম্যানিলায় শিশু কার্যক্রম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা

চলতি বছরের ৯ জুন চীন ও ফিলিপিন্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৪তম বার্ষিকী ও ১৮তম মৈত্রী দিবস। এ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি সাংবাদিকরা ম্যানিলায় এক শিশু কার্যক্রম কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী চীনার সাক্ষাত্কার নেন। চলুন একসাথে তার গল্প শুনি।

সম্প্রতি ফিলিপিন্সে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলার সিয়ে ইয়োং হুই এবং অন্য কর্মকর্তারা একসাথে শিশু কার্যক্রম কেন্দ্রে স্থানীয় বাচ্চাদের দেখতে যান। এ কেন্দ্রটি প্রবাসী চীনা জনাব জন গো হুকের অর্থায়নে নির্মিত হয়। এই কেন্দ্রে সাধারণত ম্যানিলার সাধারণ বা দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাদের ভর্তি করা হয়। এ সম্পর্কে জনাব হুক বলেন,

'আমি একজন চীনা, যদিও জাতীয়তা ফিলিপিনো, তবে আমি সবাইকে জানাতে চাই, চীনারা ফিলিপিন্স ভালোবাসে।'

ফিলিপিন্সে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রবাসী চীনা হিসেবে জনাব হুক শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক আগ্রহী। ২০০৫ সালে স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বাচ্চাদের গাড়ি দুর্ঘটনার ঝুঁকি দেখে জনাব হুক শিশু কার্যক্রম কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন,

'এসব শিশুরা অনেক দরিদ্র, শ্রেষ্ঠ সুযোগ গ্রহণের সুযোগও তাদের নেই, তাই আমি এখানে ক্লাস চালু করি। এখন বাচ্চারা স্কুলে ভালো লেখাপড়া করতে সক্ষম।'

বর্তমানে জনাব হুকের শিশু কার্যকলাপ কেন্দ্রে বিনা খরচে ইংরেজি, বাদ্যযন্ত্র ও কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানোর সাথে সাথে চীনা ক্লাসও চালু হয়েছে।

প্রতিদিন বেলা দুইটায় সরকারি স্কুলের ক্লাস শেষে বাচ্চারা নিজস্বভাবে কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে এসে চীনা শিক্ষকদের কাছ থেকে থাইজি মার্শাল আর্টস, চীনা গান ও চীনা ভাষা শেখে। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০০ জন।

এখানকার বাচ্চাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, তাই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন-কাগজ, কলম, বই ও ব্যাগের তাদের দারুণ অভাব। সেজন্য চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেদিন স্টেশনারি, ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিস এই কেন্দ্রটির বাচ্চাদের প্রদান করেন। এ সম্পর্কে কাউন্সিলার সিয়ে বলেন,

'রাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জনগণের মৈত্রীর সাথে জড়িত। ১.৪ বিলিয়ন চীনা আর ১০ কোটিরও বেশি ফিলিপিনোর পারস্পরিক সমঝোতা ও পরিচয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীর উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে।'

তাছাড়া, ফিলিপিন্সে নিযুক্ত চীনের সড়ক ও সেতু কর্পোরেশনের শাখা অফিসের কর্মকর্তারাও এ কেন্দ্রে ব্যাপক সহায়তা দেন। এ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেন সিয়াও পেং ও তার সহকর্মীরা বাচ্চাদের জন্য খাবার, থালাবাসন, কাপড়চোপড়, ফার্স্ট এইড ও ভিটামিনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য প্রদান করেন। জনাব রেন বলেন, ফিলিপিন্সে চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার উদ্দেশ্য শুধু টাকা অর্জন নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক মৈত্রীর উন্নয়নে দায়িত্বও পালন করা।' তিনি বলেন,

'এটা আমাদের প্রথম সহায়তা নয় এবং শেষবারের মতোও নয়। ভবিষ্যতে আমরা চীন ও ফিলিপিন্সের মৈত্রীর উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখবো এবং চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের ভালো ভাবমূর্তি স্থাপন করবো।'

৮১ বছর বয়সী জনাব হুক ভবিষ্যত সম্পর্কে বলেন, তিনি বাচ্চাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান, যাতে তাদের কয়েক কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রে যেতে না হয়। তাছাড়া, শিশু কার্যক্রম কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য গাড়ি কিনতে চান, যাতে বাচ্চারা সুন্দর বিশ্ব দেখতে পারে। ভবিষ্যতে আরো বেশি লোক দ্বিপাক্ষিক মৈত্রীর উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলবে বলে আশা করেন তিনি।


1  2  3  
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040