উচ্চশিক্ষার সংস্কারে সিপিপিসিসি' সদস্যদের প্রস্তাব
চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালুর ৪০ বছরে উচ্চশিক্ষায়ও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। শ্রেষ্ঠ দক্ষ ব্যক্তিদের শিক্ষাদান থেকে ব্যাপকভাবে শিক্ষাগ্রহণ পর্যন্ত চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে শক্তিশালী মেধা ও দক্ষ ব্যক্তি সরবরাহ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে চীন সরকার। একটানা ৫ বছরের সরকারি কর্ম-বিবরণীতে শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে উচ্চশিক্ষার জন্য লক্ষ্যমাত্রা স্থাপন করা হয়। তা থেকে বোঝা যায় উচ্চশিক্ষার সংস্কারও অতি গুরুত্বপূর্ণ।
থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয় চীনের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার মধ্যে একটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিপিপিসিসি'র সদস্য চাং ফেং বাও মনে করেন, উচ্চশিক্ষার সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাদানে মনোযোগ দেওয়া। তিনি বলেন,
'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও শিক্ষকদের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওপর খুব বেশি মনোযোগ দিতে হবে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস ও গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন পরীক্ষাগার স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য খোলা রাখতে হবে, যাতে তারা নব্যতাপ্রবর্তনের দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এভাবে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আকর্ষণও বেড়ে যাবে।'
তিনি আরো বলেন, থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বশেষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফলাফল ক্লাসের মধ্যে যুক্ত করতে হবে। পড়াশোনা ও গবেষণা একসাথে করতে হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও পড়াশোনার সংমিশ্রণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
শাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং সিয়াও ফান মনে করেন, শিক্ষকতার মান উন্নত করতে চাইলে শিক্ষকদের উন্মুক্তকরণ ও পড়াশোনায় চাপ দিতে হবে এবং যুব শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন,
'যুব শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ মানের শিক্ষক হওয়াতে মনোযোগ দিতে হবে, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভূমিকা।'
চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং সরকারি কর্ম-বিবরণীতে নব্যতাপ্রবর্তনে আরো বেশি সুযোগ ও স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এ সম্পর্কে ওয়াং বলেন, নব্যতাপ্রবর্তনের মাধ্যমে যুব শিক্ষকদের আত্ম উন্নত ও উন্নয়নের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন,
'শাংহাই মহানগরের নব্যতাপ্রবর্তন দল প্রতিষ্ঠায় ৪০ বছর বয়সের নিচে শিক্ষক সংখ্যা তিন ভাগের দুই ভাগে দাঁড়াবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। যুব শিক্ষকদের মূল উদ্দেশ্য মনোযোগ দিয়ে একাডেমিক গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের পড়ানো। তাদের অতিরিক্ত শক্তি অন্যান্য দিকে নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।'
মূলকথা হলো উচ্চশিক্ষার সংস্কার বাস্তবায়নে চীনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পাশাপাশি বিদেশে চীনের উচ্চশিক্ষার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও উন্নত করতে হবে। শাংহাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি'র সম্পাদক চু জি ইউয়ান বলেন,
'শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে পেশাগত ক্লাসের জ্ঞানসহ মৌলিক প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয় আন্তর্জাতিক সমাজের সাথে যুক্ত করতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ওপর মনোযোগ দিতে হবে, যাতে প্রতিযোগী দক্ষ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব।'